রোহিঙ্গা সংকটের দ্রুত সমাধানে থাইল্যান্ডের সমর্থন চেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন।
থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডন প্রামুদুনাইয়ের সঙ্গে টেলিফোন আলাপে সোমবার এ সমর্থন চান তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে থাইল্যান্ডের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডন প্রামুদুনাইকে অভিনন্দন জানান।
এ সময় দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং যৌথভাবে কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী যথাযথভাবে উদযাপন করতে সম্মত হন।
উভয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আরও বাড়াতে একমত হন।
ড. মোমেন ২০২৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশি পণ্যের বাজারে থাই সরকারের ডিএফকিউএফ স্কিমের প্রস্তাবের প্রশংসা করেন।
ফোনালাপে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন মানবিক কারণে অতিরিক্ত ১১ লাখ বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক সাময়িকভাবে আশ্রয় দেয়ায় বাংলাদেশ যে চাপের সম্মুখীন হচ্ছে, সে বিষয়গুলো তুলে ধরেন।
এ সময় তিনি রোহিঙ্গা সংকট দ্রুত সমাধানের জন্য থাইল্যান্ডের সমর্থন চান।
তিনি এ অঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার জন্য আসিয়ানের সমন্বিত ও সক্রিয় সমর্থনের আহ্বান জানান।
সেই সঙ্গে মোমেন কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালে থাই সরকারের উল্লেখযোগ্য সহায়তার প্রশংসা করেন। বিশেষ করে উভয় দেশে আটকে পড়া নাগরিকদের ফেরাতে ১৭টি ফ্লাইট পরিচালনার জন্য থাই পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
মোমেন কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের উন্নয়ন ও উৎপাদনে থাইল্যান্ডের উদ্যোগের প্রশংসা করেন। তারা বাংলাদেশে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি এবং এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেন।
বৈঠকে উভয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও বাড়াতে জোর দেন।