ফেনীতে নবজাতক হত্যার দায়ে এক নারীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
ফেনী অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দ কায়সার মো. মোশাররফ ইউছুফ সোমবার বিকেলে এ রায় দেন।
নিউজবাংলাকে আদালতের বেঞ্চ সহকারী রাজেন্দ্র কুমার ভৌমিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ৪৩ বছর বয়সী হনুফা বেগমের বাড়ি কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার মিজিয়া পাড়ায়। তিনি ফেনী সদর উপজেলার ধর্মপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৩ নম্বর ব্যারাকে বসবাস করতেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০০৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে ফেনী সদর উপজেলার ধর্মপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের পাশে একটি নবজাতক ছেলে শিশুর মাটি চাপা দেয়া মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
২০০৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে ফেনী সদর উপজেলার ধর্মপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের পাশে একটি নবজাতক ছেলের লাশ মাটি চাপা দিয়ে রাখা হয়। স্থানীয় ধর্মপুর ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে খবর পেয়ে ফেনী মডেল থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। ফেনী সদর হাসপাতালে মর্গে মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়।
পরে ডিএনএ পরীক্ষায় এই নবজাতক হনুফার বলেই প্রমাণ হয়। স্বামী পরিত্যক্তা এই নারী লোকলজ্জার ভয়ে নবজাতককে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ মাটি চাপা দেন বলে স্বীকার করেন।
২০০৮ সালের ৩ মার্চ ফেনী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর উদ্দিন বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ফেনী মডেল থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) রাশেদ খান চৌধুরী হনুফা বেগমের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোপত্র দেন।
রাজেন্দ্র কুমার ভৌমিক জানান, রায় ঘোষণার দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হনুফা বেগম আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। তিনি জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর থেকে পলাতক রয়েছেন। যখন গ্রেপ্তার হবেন বা আত্মসমর্পণ করবেন তখন থেকে সাজা কার্যকর হবে।