হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে বিয়ের পাঁচ মাসের মাথায় রাজনা বেগম নামের ২০ বছর বয়সী এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।
সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার রসুলগঞ্জ বাজারে ভাড়া বাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন স্বামী জাকারিয়া।
নবীগঞ্জ থানার ওসি ডালিম আহমেদ জানান, পাঁচ মাস আগে আলীপুর গ্রামের সবুজ মিয়ার ছেলে জাকারিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় পৌর এলাকার পশ্চিম তিমিরপুর গ্রামের আব্দুর রহিমের মেয়ে রাজনার। বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী আলীপুর গ্রামেই ছিলেন।
এক সপ্তাহ আগে রসুলগঞ্জ বাজারে ভাড়া বাসায় ওঠেন তারা। বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মনোমালিন্য চলছিল।
রাজনার স্বজনদের বরাতে ওসি আরও জানান, সোমবার দিনভর ঝগড়া হয় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। খবর পেয়ে মীমাংসা করতে সন্ধ্যায় রাজনার মা জাকারিয়াকে ফোন করেন। এ সময় জাকারিয়া তাকে গালাগালি করে বাসায় গিয়ে মেয়েকে দেখতে বলেন।
পরে বাসায় গিয়ে রাজনার মা বাইরে থেকে দরজা তালাবদ্ধ পান। এ সময় তিনি দরজার ফাঁক দিয়ে মেয়ের লাশ পরে থাকতে দেখে চিৎকার শুরু করেন। পরে আশপাশের মানুষ এগিয়ে এসে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
রাজনার স্বজনদের দাবি, পারিবারিক কলহের জের ধরেই রাজনাকে হাত-পা বেঁধে গলা কেটে হত্যা করেছে তার স্বামী।
পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গেছে।