বরিশাল বিমানবন্দরে তল্লাশিতে ধরা পড়ে ইয়াবা গিলেও রেহাই পাননি ঝালকাঠির কেওড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু সাঈদ খান।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের করা মামলায় বরিশাল মহানগর হাকিম শামীম আহমেদ সোমবার দুপুরে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমলেশ চন্দ্র হালদার।
তিনি বলেন, বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক রোববার রাতে আবু সাঈদ খানকে থানায় হস্তান্তর করেন। তল্লাশির সময় মাদক বহন ও আলামত নষ্টের অভিযোগ লিখিতভাবে তিনি পুলিশকে জানান। অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুপুরে আদালতে নেয়া হয়।
বিমানবন্দর কর্মকর্তার লিখিত অভিযোগে বলা হয়, রোববার বিকেল পৌনে ৪টায় বরিশাল থেকে ঢাকাগামী নভোএয়ারের ফ্লাইটে যাত্রী ছিলেন আবু সাঈদ। বিমানবন্দরের সবশেষ তল্লাশি ফটক পার হওয়ার সময় স্ক্যানিং মেশিনে আবু সাঈদের ব্যাগে একটি লাইটার ধরা পড়ে। লাইটারটি বের করতে বললে তিনি নেই বলে জানান।
ব্যাগটি আবার মেশিনে দিয়ে লাইটারের অবস্থান নিশ্চিত করা হয়। আবু সাঈদ তখন ব্যাগ থেকে একটি সিগারেটের প্যাকেট বের করেন, তাতে লাইটারটি পাওয়া যায়। লাইটার বের করার সময় নিরাপত্তাকর্মীরা প্যাকেটের মধ্যে কালো কার্বনে মোড়ানো বস্তু দেখে বের করতে বলেন। এ সময় আবু সাঈদ কার্বনে মোড়ানো বস্তুটি বের করে গিলে ফেলেন।
নিরাপত্তাকর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি সিগারেটের প্যাকেটে ইয়াবা ছিল বলে স্বীকার করেন। বিষয়টি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সিভিল এভিয়েশন সদর দপ্তরে অবহিত করলে আবু সাঈদের বোডিং বাতিল করে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ আসে।
ওসি কমলেশ জানান, আবু সাঈদের বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছে পুলিশ। তাকে দুপুরে বরিশাল মহানগর হাকিম আদালতে নিলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।