ষষ্ঠ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৫৫ শতাংশ।
সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দেশের ২১৮টি ইউনিয়নে এই ভোট হয়।
পরে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ভোটের তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার।
এবারের নির্বাচনে সবগুলো কেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট হয়েছে। সাধারণত ব্যালটে যেখানে ৭২ থেকে ৭৫ শতাংশ ভোট পড়ে, সেখানে তুলনামূলক কম ভোট পড়ায় বিষয়টি এক সপ্তাহের মধ্যে খতিয়ে দেখবে নির্বাচন কমিশন।
ইসি সচিব বলেন, ‘ষষ্ঠ ধাপে দেশের ২১৮টি ইউনিয়নে ভোট হয়েছে। সবগুলো কেন্দ্রে ভোট সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ভোটাররা ভোট দিয়েছেন।
‘দেশের কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি, কোনো কেন্দ্রে ভোট স্থগিত হয়নি। সবগুলো ইউনিয়নে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট নেয়া হয়েছে। এ নির্বাচনে ভোট পড়ার হার ৫৫ শতাংশ।’
একই দিনে পটুয়াখালী বাউফল পৌরসভার নির্বাচনে ৬২ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানান তিনি।
হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেন, ‘নানা কারণে ইভিএমে ভোটগ্রহণের হার কমতে পারে। এর জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে পাওয়া মতামত ও নির্বাচনের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে আমরা আমাদের টেকনিক্যাল কমিটির সঙ্গে বৈঠক করব। কী কারণে ভোট কম পড়ছে তা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে খতিয়ে দেখা হবে।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী বিভিন্ন এলাকা থেকে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণের জন্য প্রস্তাব এসেছে। কারণ এখানে একজনের আঙুলের ছাপ না মিললে অন্য কেউ আপনার ভোট দিতে পারবেন না। অর্থাৎ যার ভোট তাকেই দিতে হবে।
‘কেন ভোট কম পড়ছে, কীভাবে মানুষদেরকে আরব প্রশিক্ষিত করা যায়, আরও সচেতন করা যায় কি না, ভোটগ্রহণের হার আরও বাড়ানো যায় কি না, বিষয়গুলো আমরা টেকনিক্যাল কমিটিতে তুলব। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আমরা টেকনিক্যাল কমিটির বৈঠক করব। এই সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের কাছে।’
কম ভোট পড়ার কারণ নিয়ে ইসি সচিব বলেন, ‘সারাদেশে প্রচণ্ড ঠান্ডা পড়েছে, তার কারণে মানুষ কম ভোট দিতে আসতে পারে। দেখা যায়, আমাদের মায়েরা লাইনে দাড়িয়েছেন, কিন্তু দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে তারা হয়তো চলে যাচ্ছেন।’