মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বড় সংখ্যায় শিক্ষক নিয়োগের জন্য আবারও বিজ্ঞপ্তি আসছে। আসন্ন বিজ্ঞপ্তিটি ‘চতুর্থ গণনিয়োগ বিজ্ঞপ্তি’ নামে পরিচিত হবে।
সোমবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) চেয়ারম্যান এনামুল কাদের খান। অনুষ্ঠানে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেয়া হয়।
এনামুল কাদের খান বলেন, “আশা করছি মার্চের শেষে ‘চতুর্থ গণনিয়োগ বিজ্ঞপ্তি’ প্রকাশ করতে পারব। এর আগে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১৫ হাজার শূন্য পদ পূরণে ফেব্রুয়ারির শুরুতে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। একইসঙ্গে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগ পাওয়া কেউ যোগদান না করলে দ্বিতীয় মেধা তালিকা করে নিয়োগের সুপারিশ করা হবে।”
এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান বলেন, ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ৫৪ হাজার শিক্ষক পদের জন্য গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ৩৪ হাজার ৭৩ জন প্রার্থীকে সুপারিশপত্র দেয়া হয়েছে। এখানে ১৫ হাজারের বেশি পদ খালি থাকছে। সে পদগুলোতে নিয়োগের সুপারিশ করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের অনুমতি দিয়েছে। ফেব্রুয়ারির শুরুতেই এ পদগুলোতে নিয়োগ কার্যক্রম প্রক্রিয়া চালাতে চাই।
এর আগে গত বছরের ৩০ মার্চ তৃতীয় ধাপে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ৫৪ হাজার ৩০৪ শিক্ষক নিয়োগে গণনিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। ওই বিজ্ঞপ্তির আওতায় ফল প্রকাশ হয় গত বছরের ১৫ জুলাই। সেখান থেকে ৩৪ হাজার ৭৩ জন শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে।
সুপারিশ পাওয়া এসব প্রার্থীর মধ্যে যারা যোগদান করবে না সে পদগুলোতে দ্বিতীয় মেধাতালিকা প্রকাশ করে তা থেকে নিয়োগের সুপারিশ করা হবে বলে জানিয়েছেন এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান।
তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এমপিওভুক্ত ও নন-এমপিও স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে ৩১ হাজার ১০১, মাদ্রাসা, কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনায় ২০ হাজার ৯৯৬ এবং সংরক্ষিত ২ হাজার ২০৭ জনকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়ার কথা ছিল।
শিক্ষকদের নিয়োগপত্র প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন। অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব আবু বকর ছিদ্দীক বক্তব্য দেন।