ঠাকুরগাঁও সদরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে চার সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
সদর থানায় সোমবার বিকেলে দৈনিক ইত্তেফাক ও ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি তানভির হাসান মামলা করেন।
নিউজবাংলাকে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় মাসুদ রানা, রাকিব, সোহাগ, রাব্বি, স্বরুপ কুমার সেনসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সদর উপজেলার সেনুয়া ইউনিয়নের মণ্ডলপাড়ায় শনিবার দুপুরে ইউপি নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের সময় হামলার শিকার হন নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডট কমের ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি সোহেল রানা, ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগো নিউজের ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি তানভীর হাসান তানু, রাইজিং বিডির ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি হিমেল এবং দৈনিক উষার বাণীর জাহিদ হাসান মিলু।
এতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে স্থানীয়রা ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
অভিযোগ ওঠে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী নোবেল কুমার সিংহের সমর্থকরা এ হামলা চালান। তবে নৌকার প্রার্থী এ হামলার দায় চাপিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমানের কর্মী-সমর্থকদের ওপর।
আহত সোহেল রানা জানান, মণ্ডলপাড়ায় উঠান বৈঠককে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নোবেল কুমার সিংহ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোটরসাইকেল প্রতীকের আতাউর রহমানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সাংবাদিকরা সেই ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে নৌকার প্রার্থীর লোকজন তাদের সেখান থেকে চলে যেতে বলেন।
তিনি বলেন, ‘এরপর ১০-১২ জন তানু ও আমাকে বাঁশের লাঠি ও দেশি অস্ত্র দিয়ে মারধর করেন। হিমেল তাদের বাঁচাতে গেলে তাকেও মারা হয়। এ সময় আহত হন জাহিদ। ভাঙচুর করা হয় ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের ক্যামেরা ও গাড়ি। পরে স্থানীয়রা তাদের ছাড়িয়ে আনেন।’
হামলার বিচার চেয়ে ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাব সভাপতি মনসুর আলী বলেন, ‘পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকরা হামলার শিকার হয়েছেন। এ জেলার সকলের দাবি, হামলাকারীদের যেন গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হয়।’
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বলেন, ‘আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য তৎপরতা চালাচ্ছে পুলিশ’