বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কার্টুনিস্ট কিশোরকে ‘শেষবারের মতো’ সুযোগ দিল আদালত

  •    
  • ৩১ জানুয়ারি, ২০২২ ১৭:০২

আসামি কিশোরের পক্ষে তার আইনজীবী অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছানোর আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন গ্রহণ করে নতুন তারিখ ঠিক করে।

কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরকে ‘শেষবারের মতো’ সুযোগ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে আদালত। এরপর আদালতের আদেশ অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দেয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।

সোমবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত একথা জানায়।

এদিন কার্টুনিস্ট কিশোর, নেত্র নিউজের এডিটর-ইন-চিফ তাসনিম খলিল, হাঙ্গেরিপ্রবাসী জুলকারনাইন সায়ের খান সামিসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশুনানির তারিখ ধার্য ছিল।

কিশোরের আইনজীবী জায়দুর রহমান আদালতে চার্জগঠন শুনানি পেছানোর আবেদন জানান।

আবেদনপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, তিনি মোবাইল ফোনে কিশোরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন। যোগাযোগ করতে না পেরে তিনি সময়ের আবেদন করেছেন।

এসময় সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম শামীম দাবি করেন, ‘জামিন পেয়ে কার্টুনিস্ট কিশোর বিদেশে চলে গেছেন। সেখান থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সরকারের বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা চালাচ্ছেন।’

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন বলেন, ‘কিশোরের জন্য এটাই শেষ সুযোগ। এরপর আদালতের আদেশ অমান্য করলে পরের শুনানিতে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দেয়া হবে।’

আদালত এই মামলার চার্জগঠন বিষয়ে শুনানির জন্য ২৭ ফেব্রুয়ারি তারিখ ঠিক করে।

আদালত জানায়, কিশোরের অনুপস্থিতিতেই চার্জগঠন শুনানি চলবে।

গত বছরের ১০ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) উপ-পরিদর্শক (এসআই) আফছর আহমেদ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আদালতে এই মামলার চার্জশিট দেন।

চার্জশিটভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন- রাজনৈতিক সংগঠন রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য দিদারুল ইসলাম ভূঁইয়া, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন, ব্লগার আশিক মোহাম্মাদ ইমরান ও মো. ওয়াহিদুন্নবী।

কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, লেখক মুশতাক আহমেদসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের মে মাসে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে র‌্যাব।

এই মামলার অন্য ৯ আসামি হলেন- রাজনৈতিক সংগঠন রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য দিদারুল ইসলাম ভূঁইয়া, নেত্র নিউজের এডিটর-ইন-চিফ তাসনিম খলিল, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান, যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী সাংবাদিক শাহেদ আলম, জার্মানিপ্রবাসী ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন, হাঙ্গেরিপ্রবাসী জুলকারনাইন সায়ের খান (সামি), আশিক ইমরান, স্বপন ওয়াহিদ ও ফিলিপ শুমাখার।

কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদ মারা যাওয়ায় ও যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী সাংবাদিক শাহেদ আলম, ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিনদের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ না পাওয়ায় ও ফেসবুক আইডিতে ফিলিপ শুমাখারের নাম-ঠিকানা না পাওয়ায় তাদের অব্যাহতির আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

এজাহারের নথিতে বলা হয়েছে, কার্টুনিস্ট কিশোর তার ‘আমি কিশোর’ ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সরকারের ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন সমালোচনামূলক কার্টুন-পোস্টার পোস্ট করতেন। মুশতাক তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে কিশোরের সেসব পোস্টের কয়েকটি শেয়ার করেছেন। আসামিরা ‘আই এম বাংলাদেশি’ নামে ফেসবুক পেজে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ন করতে বা বিভ্রান্তি ছড়ানোর উদ্দেশে অপপ্রচার বা গুজবসহ বিভিন্ন ধরনের পোস্ট দিয়েছেন, যা জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটায়। এ ছাড়া হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুক মেসেঞ্জারে তাসনিম খলিল, সামি, শাহেদ আলম, আসিফ মহিউদ্দিনের সঙ্গে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক চ্যাটিংয়ের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

মামলায় তাদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মুক্তিযুদ্ধ, মহামারি করোনাভাইরাস সম্পর্কে গুজব, রাষ্ট্র ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে অপপ্রচার ও বিভ্রান্তি ছড়িয়ে রাষ্ট্রের জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি, অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ আনা হয়।

মামলার পর গ্রেপ্তার হয়ে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে মিনহাজ মান্নান ও দিদারুল আলম ভূঁইয়া জামিনে মুক্তি পান। কার্টুনিস্ট কিশোর ও লেখক মুশতাক কারাগারে ছিলেন।

গত বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি মুশতাক কাশিমপুর কারাগারে মারা যান।

এর আগে একই বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি মামলার আগের তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মহসীন সরদার আদালতে একটি চার্জশিট দেন। সেখানে কার্টুনিস্ট কিশোর ও রাষ্ট্রচিন্তার দিদারুল ও লেখক মুশতাককে অভিযুক্ত করা হয়েছিল।

অন্যদিকে শায়ের জুলকারনাইন ওরফে সামি ও মিনহাজ মান্নান, আশিক মোহাম্মাদ ইমরান, তাসনীম খলিল, মো. ওয়াহিদুন্নবীসহ ৮ জনের অব্যাহতি চাওয়া হয়।

চার্জশিটে আল-জাজিরা টেলিভিশনে সাবেক সেনাপ্রধানকে নিয়ে প্রচারিত প্রতিবেদনের প্রধান চরিত্র হিসেবে সামিউল ইসলাম খান ওরফে শায়ের জুলকারনাইন ওরফে সামির অব্যাহতি পাওয়া নিয়ে সংবাদপত্রে আলোচনা-সমালোচনা হওয়ায় মামলাটি পরে অধিকতর তদন্তে পাঠানো হয়। অধিকতর তদন্ত শেষে সাতজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেয়া হয়।

এ বিভাগের আরো খবর