বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

টঙ্ক আন্দোলনে শহীদ রাশিমণির ৭৬তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

  •    
  • ৩১ জানুয়ারি, ২০২২ ১৬:০৭

টঙ্ক আন্দোলন চলাকালে ১৯৪৬ সালের ৩১ জানুয়ারি ব্রিটিশ পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা বহেরাতলি গ্রামের লংকেশ্বর হাজংয়ের স্ত্রী কুমুদিনী হাজংকে ধরে নিয়ে যেতে চাইলে হাজং নেত্রী রাশিমণি হাজং ও কৃষক নেতা সুরেন্দ্র হাজংয়ের নেতৃত্বে শতাধিক নারী-পুরুষ দা, খুন্তি, কুড়াল নিয়ে পথরোধ করেন। এক পর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে যুদ্ধ বাধে। সে যুদ্ধে পুলিশের গুলিতে রাশিমণি হাজং ও সুরেন্দ্র হাজং শহীদ হন।

শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ, আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কবিতা পাঠসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে সোমবার নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার বহেরাতলি গ্রামে টঙ্ক আন্দোলনের প্রথম শহীদ নারী হাজংমাতা রাশিমণি হাজংয়ের ৭৬তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।

বিরিশরি ক্ষুদ্র ও নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমিসহ বেশ কয়েকটি আদিবাসী সংগঠনের যৌথভাবে এসব কর্মসূচির আয়োজন করে।

সকাল ১১টায় টঙ্ক আন্দোলনের জীবন্ত কিংবদন্তি কুমদিনী হাজং বহেরাতলি গ্রামে অবস্থিত হাজং মাতা রাশিমণি স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে দিনটির সূচনা করেন।

পরে বিরিশরি ক্ষুদ্র ও নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমি, বাংলাদেশ জাতীয় হাজং উন্নয়ন সংগঠন, হাজং মাতা রাশিমণি কল্যাণ পরিষদ, হাজং মাতা রাশিমণি মেমোরিয়াল ট্রাস্ট, বাংলাদেশ হাজং ছাত্র সংগঠন, ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন, বাংলাদেশেন কমিউনিস্ট পার্টি, যুব ইউনিয়ন, ছাত্র ইউনিয়ন, দুর্গাপুর সাহিত্য সমাজ, উদ্দীপনসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও প্রগতিশীল রাজনৈতিক সংগঠন তাতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করে।

স্মৃতিসৌধের সামনে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা।

বিরিশরি কালচারাল একাডেমির পরিচালক গীতিকার সুজন হাজংয়ের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- টঙ্ক আন্দোলনের সাক্ষী কুমুদিনী হাজং, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এমদাদুল হক খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হক, হাজং মাতা রাশিমণি মেমোরিয়াল ট্রাস্টের ট্রাস্টি স্বপন হাজং, বাংলাদেশ জাতীয় হাজং উন্নয়ন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পল্টন হাজং, অধ্যক্ষ ফারুক আহমেদ তালুকদার, আলকাছ উদ্দিন মীর, চিত্রশিল্পী বিশ্বজিত হাজং রূপক, কবি লোকান্ত শাওন, সারোয়ার হোসেন, সাজ্জাদ খান, বারেন্দ্র দ্রং, হরিদাস হাজং, মালা মার্থা আরেং ও রিপন খানসহ আরও অনেকে।

আলোচনার পর বিরিশিরি ক্ষুদ্র ও নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমিসহ স্থানীয় বিভিন্ন আদিবাসী-সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন। এ ছাড়া স্থানীয় কবি ও আবৃত্তিকাররা করেন কবিতা পাঠ।

টঙ্ক আন্দোলন চলাকালে ১৯৪৬ সালের ৩১ জানুয়ারি ব্রিটিশ পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা বহেরাতলি গ্রামের লংকেশ্বর হাজংয়ের স্ত্রী কুমুদিনী হাজংকে ধরে নিয়ে যেতে চাইলে হাজং নেত্রী রাশিমণি হাজং ও কৃষক নেতা সুরেন্দ্র হাজংয়ের নেতৃত্বে শতাধিক নারী-পুরুষ দা, খুন্তি, কুড়াল নিয়ে পথরোধ করেন। এক পর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে যুদ্ধ বাধে। সে যুদ্ধে পুলিশের গুলিতে রাশিমণি হাজং ও সুরেন্দ্র হাজং শহীদ হন। ওই ঘটনার পর থেকে হাজং সম্প্রদায় রাশিমণি হাজংকে মাতৃজ্ঞান করেন।

প্রতিবছর নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ঐতিহাসিক দিনটি পালন করেন তারা। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে তারা এবার রাশিমণি মেলার আয়োজন করেননি।

এ বিভাগের আরো খবর