বেলা আড়াইটার দিকে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার রহিমগঞ্জ ইউনিয়নের ধন্তা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে আসেন ষাটোর্ধ্ব মাজেদা বেগম। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দেয়ার পদ্ধতি তিনি জানেন না। গোপন কক্ষে ভোট দিতে গিয়ে ১৫ মিনিট পর ফিরে আসেন। এরপর শিখিয়ে দেয়ার পর ভোট দেন তিনি।
ফুলপুরসহ ভালুকা উপজেলার ২১টি ইউনিয়নে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট হচ্ছে। ইভিএমে পুরুষদের ভোট দিতে সমস্যা না হলেও, ভোট দিতে গিয়ে বিপাকে পড়ার কথা জানিয়েছেন এখানকার বয়স্ক নারী ভোটাররা।
ভোট দেয়ার পদ্ধতি না জানায় প্রিসাইডিং কমকর্তার সহায়তা নিতে হচ্ছে তাদের। এতে একেকজনের ভোট দিতে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর্যন্ত সময় লেগে যাচ্ছে।
ভোট দিতে গিয়ে বিপাকে পড়া মাজেদা বেগম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আর কহনো (কখনো) এমনে ভোট দিছি না। বাড়িত কয়েকজন বুঝাইয়া দিছিন (দিয়েছিল)। তবুও এইনো আয়্যা ভুইল্যা গেছিলাম। ভোট দেয়ার পর বুঝলাম এইডা সহজ পদ্ধতি।’
আমেনা খাতুন নামে আরেক ভোটার বলেন, ‘মেশিনে কিছুক্ষণ টিপাটিপি কইরাও মনের প্রার্থীকে ভোট দিবার পারছি না। কেন্দ্রের ভেতরে অফিসারকে জানালে শিখিয়ে দেন। পরে পছন্দের প্রার্থীকে খুব সহজেই ভোট দিছি।’
কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কমকর্তা কামরুল হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পুরুষ ভোটাররা ইভিএমে স্বাচ্ছন্দ্যে খুব দ্রুত ভোট দিচ্ছেন। বেশির ভাগ নারীই এ পদ্ধতিতে ভোট দিতে জানেন। তবে বয়স্ক নারীরা গোপন কক্ষে গিয়ে সময় বেশি নিচ্ছেন। এ জন্য ভোট গ্রহণে কিছুটা ধীরগতি হচ্ছে।’
ময়মনসিংহ জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা দেওয়ান মো. সারোয়ার জাহান বলেন, ‘নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ করতে ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের পাশাপাশি র্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা তৎপর রয়েছেন। এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
ষষ্ঠ ধাপের ইউপি নির্বাচনে ফুলপুরের ১০ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৫২ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৪১৫ জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১১৭ জন এবং ভালুকার ১১টিতে চেয়ারম্যান পদে ৬০ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৩৯৬ জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১৩৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।