ভারতে বিভিন্ন ডিভাইসে স্পাইওয়্যার পেগাসাস ব্যবহারের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছেন অন্তত দুজন সাইবার নিরাপত্তা গবেষক।
সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত তদন্ত কমিটির সামনে দেয়া জবানবন্দিতে তারা এমন দাবি করেন।
ডিভাইসে ইসরায়েলের স্পাইওয়্যার পেগাসাস ব্যবহার করে নজরদারির অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন কয়েকজন ভারতীয়। এর প্রেক্ষাপটে একাধিক সাইবার নিরাপত্তা গবেষককে তদন্ত কমিটির কাছে ফরেনসিক বিশ্লেষণের বিশদ তথ্য সরবরাহ এবং জবানবন্দি দেয়ার জন্য নিযুক্ত করে ভারতের সর্বোচ্চ আদালত।
আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী সাইবার গবেষকরা তাদের জবানবন্দি দেন।
এ গবেষকদের একজন ভারতভিত্তিক ইংরেজি দৈনিক দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, সাতজনের আইফোন বিশ্লেষণ বা পরীক্ষা করা হয়েছে, যার মধ্যে দুজনের ডিভাইসে পেগাসাস দিয়ে নজরদারি করা হয়েছে।
একজন গবেষক সুপ্রিম কোর্টে একটি হলফনামা জমা দিয়েছেন এবং পরবর্তী সময়ে তদন্ত কমিটির সামনে বলেছেন, ফরেনসিক টুল ব্যবহার করে দুটি ফোনে পেগাসাস ব্যবহারের প্রমাণ মিলেছে।
দুই ব্যক্তির ডিভাইস থেকে ব্যক্তিগতভাবে শনাক্তযোগ্য ডেটা মুছে ফেলার পর সাইবার নিরাপত্তা গবেষক দেখতে পান, আবেদনকারীদের একজনের ফোনে ২০১৮ সালের এপ্রিলে পেগাসাস বসানো হয়। অন্য ফোনটিতে ২০২১ সালের জুন এবং জুলাইয়ের মধ্যে কোনো সময়ে স্পাইওয়্যার বসানো হয়।
অন্য সাইবার নিরাপত্তা গবেষক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, তিনি মামলায় আবেদনকারীদের মধ্যে ছয়জনের অ্যান্ড্রয়েড ফোন বিশ্লেষণ করেছেন। এর মধ্যে চারটি ফোনে ম্যালওয়্যারের স্বতন্ত্র সংস্করণ খুঁজে পেয়েছেন। বাকি দুটি ডিভাইসে পেগাসাসের আসল সংস্করণের ভ্যারিয়েন্ট রয়েছে।
২০১৯ সালের অক্টোবর-নভেম্বর এবং ২০২১ সালের জুলাইয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের সংবাদমাধ্যমগুলো ইসরায়েলি কোম্পানি এনএসও গ্রুপের স্পাইওয়্যার পেগাসাস নিয়ে খবর প্রকাশ করে।
এসব প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, কর্তৃত্ববাদী সরকারগুলো সাংবাদিক, সমাজকর্মী, মন্ত্রী ও বিরোধী দলের নেতাদের ওপর অবৈধভাবে এ স্পাইওয়্যার ব্যবহার করেছে।