বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মুক্তিযোদ্ধা নেতাদের ‘অনুরোধে’ ময়লার গাড়িতে মরদেহ

  •    
  • ৩১ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০৩

জেলা মুক্তিযোদ্ধাগনের অনুরোধেই পরিচ্ছন্ন অবস্থায় ময়লার গাড়িটি মুক্তিযোদ্ধা তালাপতুফ হোসেন মঞ্জুর মরদেহ পরিবহনে অনুমতি দেয়া হয়, জানান শেরপুর পৌর চেয়ারম্যান।

শেরপুর পৌরসভায় কোনো মরদেহবাহী গাড়ি নেই। শুধু পৌরসভায় নয়, পুরো জেলাতেই নেই এমন গাড়ি।

এ জন্য অ্যাম্বুলেন্সেই বেশি ভাড়ায় মরদেহ পরিবহন করে এ জেলার মানুষ। এ ছাড়া শুধু তেল খরচেই শেরপুর পৌরসভার বর্জপরিবহন করা গাড়িটি দিয়ে পৌরবাসীর মরদেহ পরিবহন করা হয়।

লাশ পরিবহনের আগে ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করা হয় এই গাড়িটি। এভাবেই চলে এসেছে বিগত কয়েক বছর।

এরই ধারাবাহিকতায় ২৮ জানুয়ারি বীর মুক্তিযোদ্ধা তালাপতুফ হোসেন মঞ্জুর মরদেহটি পৌরসভার নির্ধারিত গাড়ি দিয়েই বহন করা হয়। পরে এ নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে শুরু হয় নানা বিতর্ক।

এ বিষয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের অবগতির জন্য গত শনিবার বিকেলে মাধবপুরস্থ শেরপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে পৌর মেয়র আলহাজ্ব গেলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন।

এ সময় তিনি বলেন, ‘আমাদের পৌরসভায় কোনো লাশবাহী গাড়ি নেই। আমরা লাশবাহী গাড়ি ক্রয় করার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে ক্রয়ের অনুমতি চেয়ে দুই দফা পত্র দিয়েছি। কিন্তু অনুমতি মেলেনি। ফলে আমরা গাড়ি ক্রয় করতে পারছি না। তাই আমাদের একমাত্র গাড়িটি দিয়েই আবর্জনার পাশাপাশি এটি ধুয়ে মুছে লাশও পরিবহন করা হয়।’

এ সময় তিনি দাবি করেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধাগনের অনুরোধেই পরিচ্ছন্ন অবস্থায় ওই গাড়িটি মুক্তিযোদ্ধা তালাপতুফ হোসেন মঞ্জুর মরদেহ পরিবহনের অনুমতি দেন তিনি।

মাধবপুরস্থ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে মত বিনিময় সভা করেন শেরপুর পৌর মেয়র

এ বিষয়ে গণমাধ্যমের খবরে বিব্রত হয়েছেন জানিয়ে গেলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া বলেন, ‘আমরা এখন থেকে আর এ গাড়ি দিয়ে লাশ বহনের সুযোগ দেবো না। আমরা লাশ পরিবহনের জন্য গাড়ি কেনার চেষ্টা করছি।’

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘আমরাই বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম তালাপতুফ হোসেন মঞ্জুর লাশ পরিবহনের জন্য গাড়িটি পৌরসভার কাছে চেয়েছিলাম। এতে পৌরসভার কোনো দোষ নেই।’

এ সময় জেলা প্রেসক্লাব সভাপতি মো. শরিফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মেরাজ উদ্দিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি মলয় মোহন বল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাবিহা জামান শাপলা, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আদিল মাহমুদ উজ্জল, সাংগঠনিক সম্পাদক মানিক দত্তসহ স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর