বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তদন্তের নামে যাচ্ছেতাই মেনে নেয়া যায় না: হাইকোর্ট

  •    
  • ৩০ জানুয়ারি, ২০২২ ২২:২৬

পুঠিয়ার শ্রমিক নেতা নুরুল ইসলাম হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে নির্দেশনা অনুযায়ী তদন্ত না করার বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওই কর্মকর্তা যে লিখিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন তাতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট। পরে আদালত দু’সপ্তাহের মধ্যে তাকে পুনরায় লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলেছে।

‘আপনারা (তদন্ত কর্মকর্তা) যা ইচ্ছে তাই করবেন সেটা মেনে নেয়া যায় না। এ দেশ ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন হয়েছে। আপনাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিলো হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী তদন্ত সম্পন্ন করতে। কিন্তু সেই নির্দেশনাও প্রতিপালন করেননি।’

রাজশাহীর পুটিয়ার শ্রমিক নেতা নুরুল ইসলাম হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তার ওপর অসন্তোষ প্রকাশ করে রোববার হাইকোর্ট এসব কথা বলেছে।

আদালত পরে তদন্ত কর্মকর্তাকে পুনরায় ব্যাখ্যা দাখিলের নির্দেশ দেয়।

বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. সেলিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার এ আদেশ দেয়।

আদালতের নির্দেশে শ্রমিক নেতা নুরুল ইসলাম হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের মো. শামীম আক্তার আজ রোববার হাজির হন। হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী তদন্ত না করার বিষয়ে তার কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওই কর্মকর্তা যে লিখিত ব্যাখ্যা দাখিল করেছেন তাতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট। পরে আদালত আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে তাকে পুনরায় লিখিত ব্যাখ্যা দাখিলের নির্দেশ দেয়।

রাজশাহীর পুঠিয়ার সড়ক ও পরিবহন মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি ছিলেন নুরুল ইসলাম। ২০১৯ সালের ১০ জুন তাকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে নিগার সুলতানা আটজনের নাম উল্লেখ করে পুঠিয়া থানায় এজাহার দাখিল করেন। কিন্তু তা লিপিবদ্ধ না করে ওই থানার তৎকালীন ওসি সাকিল উদ্দিন আহমেদ ছিঁড়ে ফেলেন। পরে সাদা কাগজে বাদীর সই রেখে নিজেরাই একটা এজাহার তৈরি করে তা থানায় লিপিবদ্ধ করেন।

পরবর্তী সময়ে হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত বিচারিক অনুসন্ধান কমিটির তদন্তে এসব তথ্য বেরিয়ে আসে। একইসঙ্গে ২০১৯ সালের ১ ডিসেম্বর হাইকোর্ট মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন্সকে (পিবিআই) নির্দেশ দেয়।

রায়ে হাইকোর্ট বলে, আদালত প্রত্যাশা করে যে পিবিআই প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার মামলাটি তদন্ত তদারকিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবেন। বর্তমান তদন্তকারী কর্মকর্তা/সংস্থাকে অবিলম্বে কেস ডকেট পিবিআই’র কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দেয়া হলো। পিবিআই-কে তদন্তকালে সংবাদদাতার মূল এজাহারের বর্ণনা, রাজশাহীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক অনুসন্ধান রিপোর্ট ও ওই অনুসন্ধান কার্যক্রমে সাক্ষীদের সাক্ষ্য বিবেচনায় নেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হল।

হাইকোর্টের এই নির্দেশনা না মেনেই তদন্ত সম্পন্ন করেন তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের শামীম আক্তার। এই মামলার আসামি আবুল কালাম ওরফে আবু জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন। ওই জামিন আবেদনের শুনানিকালে হাইকোর্ট নির্দেশনা না মেনে তদন্ত করার বিষয়টি দেখতে পায়। এরপরই তদন্ত কর্মকর্তাকে তলবের পাশাপাশি এ বিষয়ে তার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়।রোববার হাইকোর্টে দাখিল করা ব্যাখ্যায় শামীম আক্তার বলেন, মামলার বাদীর কাছে প্রথম এজাহার চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু উনি তা দেননি। এছাড়া ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ করেই তদন্ত সম্পন্ন করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।

তদন্ত কর্মকর্তার এই ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হতে পারেনি হাইকোর্ট। পুনরায় ব্যাখ্যা দাখিল করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে তদন্ত কর্মকর্তাকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকেও অব্যাহতি দেয়নি আদালত।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবু ইয়াহিয়া দুলাল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মিজানুর রহমান এবং তদন্ত কর্মকর্তার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।

এ বিভাগের আরো খবর