বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ক্ষমা চাইলেন কবীর সুমন

  •    
  • ৩০ জানুয়ারি, ২০২২ ২১:৩৪

কবীর সুমন লেখেন, ‘ভেবে দেখলাম সেদিন টেলিফোনে এক সহনাগরিককে যে গাল দিয়েছিলাম, সেটা সুশীল সমাজের নিরিখে গর্হিত কাজ। এতে কাজের কাজ কিছু হলো না, মাঝখান থেকে অনেকে রেগে গেলেন, উত্তেজিত হলেন।’

সাংবাদিককে গালমন্দ করে বিতর্কে জড়িয়ে ক্ষমা চাইলেন কবীর সুমন। এই ইস্যুতে একই সঙ্গে কিছুটা ক্ষোভও ঝাড়লেন এই সংগীত তারকা। অনুমতি ছাড়াই ফোন কলটি রেকর্ড করার অভিযোগ এনেছেন তিনি।

সম্প্রতি কলকাতার একটি টেলিভিশন চ্যানেলের এক সাংবাদিকের সঙ্গে কবীর সুমনের কথোপকথনের রেকর্ডিং প্রকাশ্যে আসে। এতে সাংবাদিককে অকথ্য ভাষায় গালাগাল দিতে শোনা যায় তাকে।

আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, ওই রেকর্ডিং ছড়িয়ে পড়ার পর সমালোচনার ঝড় উঠেছে। পুলিশে অভিযোগ পর্যন্ত দিয়েছে বিজেপি।

এমন পরিস্থিতিতে রোববার ফেসবুকে কবীর সুমন লেখেন, ‘ভেবে দেখলাম সেদিন টেলিফোনে এক সহনাগরিককে যে গাল দিয়েছিলাম, সেটা সুশীল সমাজের নিরিখে গর্হিত কাজ। এতে কাজের কাজ কিছু হলো না, মাঝখান থেকে অনেকে রেগে গেলেন, উত্তেজিত হলেন।

‘এমনিতেই করোনার উৎপাত তার ওপর ফোনে গালমন্দ- লাভ কী। তাই আমি সহনাগরিকের কাছে, বিজেপি আরএসএসের কাছে এবং বাঙালিদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’

তিনি লেখেন, ‘আপনাদের যদি ভাবতে ভালো লাগে যে আমি খুব ভয় পেয়ে এটা লিখছি, তো তাই-ই ভাবুন। যেটা ভাবলে আপনাদের মন ভালো হয়ে ওঠে, সেটাই ভাবুন।’

পোস্টে ওই সাংবাদিকের ওপর ক্ষোভ ঝাড়েন কবীর সুমন। তিনি বলেন, ‘একটি বিশেষ চ্যানেলের এক প্রতিনিধি যখন আমায় ফোন করেন তিনি কিন্তু আমাদের দুজনের কথাবার্তা রেকর্ড করার কথা আমায় বলেননি, আমার অনুমতি নেননি।’

তিনি লেখেন, ‘যে চ্যানেল ও দল দীর্ঘকাল ধরে আমাদের দেশের মুসলমানদের আক্রমণ ও অপমান করে চলেছে, যে দলের কোনো কোনো নেতাকে বলতে শোনা গিয়েছে অমুক সম্প্রদায়ের মৃত নারীদের কবর থেকে তুলে… ইত্যাদি ইত্যাদি, তাদের গালাগাল দেওয়ার অধিকার আমার নেই।’

কবীর সুমন লিখেছেন, ‘যা-ই হোক, উত্তেজনা বাড়ানো নয়, প্রশমন। তাই দোষ কবুল। অন্য পক্ষকে কিছু করতে হবে না। ধরে নিন খুব ভয় পেয়ে গেছি। খুব। আমি বুড়ো মানুষ। এক ধাক্কাতেই কাত। তাই-না, বাবু, মারবেন না, ছেড়ে দিন।’

‘লুকিয়ে রেকর্ড করা একটি অডিও ক্লিপ যেমন অনেকে শুনেছেন। শুনে যারা দুঃখ পেয়েছেন, আঘাত পেয়েছেন তাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী এই অধম। ইচ্ছে-তাদের নেমন্তন্ন করে খাওয়াই। বেশি না। পরিমিত। এই করোনার ঝামেলা মিটলে। আশা করি অধমকে সে সুযোগ দেবেন।’

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে রিপাবলিক বাংলা চ্যানেলের এক সাংবাদিকের সঙ্গে কবীর সুমনের ওই ফোনালাপ ‘ভাইরাল’ হয়। তৃণমূলের সাবেক এই সংসদ সদস্যের ফোনালাপকে কেন্দ্র করে চলছে ব্যাপক সমালোচনা।

তৃণমূলের পক্ষ থেকে এ বিষয় নিয়ে কোনো বার্তা না দেয়া হলেও দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ টুইটারে লেখেন, ‘এর জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত, না চাইলে ব্যবস্থা হওয়া উচিত।’ আর রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকেও শনিবার থানায় একটি অভিযোগ জানানো হয়।

এ বিভাগের আরো খবর