র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞাকে কেন্দ্র করে বিদেশি বিভিন্ন সংস্থায় অপপ্রচারের পরিপ্রেক্ষিতে সংস্থাগুলোয় চিঠি দিচ্ছে সরকার।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন রোববার সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
রাজধানীর মিরপুরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে ‘বঙ্গবন্ধু ১৬তম জাতীয় উশু চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২১’-এর সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ড. মোমেন। তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিবিশেষ কিছু ইস্যু, বিশেষ করে নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে যথেষ্ট জোর পেয়েছে। তারা লেখালেখি করবে।
‘তবে এগুলো ব্যক্তিবিশেষের লেখালেখি। আমাদের বিশ্বাস, ওই সব সংস্থা এগুলো আমলে নেবে না। তবু আমরা সেসব সংস্থাকে একটা ব্রিফিং পাঠাচ্ছি। বাস্তব অবস্থাটা জানানোর জন্য আমরা সব সংস্থাকে চিঠি দিচ্ছি। সব মিশনে কথা বলেছি।’
বহির্বিশ্বের সঙ্গে ঢাকার যে ধরনের সম্পর্ক রয়েছে, তাতে ব্যক্তিবিশেষের লবিস্টগুলো প্ররোচনা দিয়ে সুবিধা করতে পারবে না বলে বিশ্বাস পররাষ্ট্রমন্ত্রীর।
যুক্তরাষ্ট্র র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পর পরই বিষয়টি দেখভালের জন্য তিন মন্ত্রীকে দায়িত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারা হলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
র্যাবের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে অগ্রগতি বা হালনাগাদ কোনো তথ্য আছে কি না জানতে চাইলে মোমেন বলেন, ‘আমরা এগুলো নিয়ে কন্টিনিউয়াসলি মিটিং করি। কী করতে হবে সেটা আমরা আলোচনা করছি এবং আমরা সিদ্ধান্তগুলো আলোচনা করেই নেব। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা যে কয়েকজন আছি, বসে ঠিক সময়ে করণীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। এগুলো কন্টিনিউয়াস প্রসেস।’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অভিযোগ দেশের বিরুদ্ধে বিএনপি ও জামায়াত মিলে অপপ্রচার চালাচ্ছে। অপপ্রচারে বিএনপি লবিস্ট নিয়োগে ৪ দশমিক ১৩ মিলিয়ন ডলার খরচ করেছে। বিএনপির পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতাদের কাছে ১৮টি চিঠি দেয়ার অভিযোগও রয়েছে।
এসব কর্মকাণ্ডের জন্য বিএনপির বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নেবে কি না জানতে চাইলে ড. মোমেন বলেন, ‘যারা দেশের অমঙ্গল চায় তাদের বিরুদ্ধে কী রকম ব্যবস্থা আমরা নিতে পারি আপনারাই বলেন।’