বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চুমু চাওয়ার প্রশ্নই আসে না: পীরজাদা

  •    
  • ৩০ জানুয়ারি, ২০২২ ২০:০২

‘এ ধরনের কোনো কথা বা আলাপ তার (নিপুণ) সঙ্গে আমার হয়নি। এটা সঠিক না, আর এ রকম কথা হওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না।’

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ঘটনাবহুল নির্বাচনের রেশ রয়ে গেছে ভোট শেষেও। বরং এখন উঠেছে অন্য এক অভিযোগ।

সাধারণ সম্পাদক নির্বাচনে হেরে যাওয়া প্রার্থী নিপুণ আক্তার দাবি করেছেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা শহীদুল হারুন তার কাছে দুটি চুমু চেয়েছিলেন।

রোববার নিপুণ রাজধানীতে সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করার পর পীরজাদা কথা বলেছেন নিউজবাংলার সঙ্গে। বলেছেন, এই অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন।

বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে নিপুণ বলেন, ‘পীরজাদা হারুনের নামে আরেকটা কথা বলতেই হয়। সে সময় আমার পাশে দুজন নারী প্রার্থী ছিলেন, তারা এখন নাই। উনি সকালবেলা আমার কাছ থেকে দুই গালে কিস চাচ্ছে। ওর গালে দুটি চড় লাগিয়ে দেয়া উচিত ছিল, যেটা আমি করি নাই।’

যে প্যানেলের প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়াই করেন, সেই প্যানেলের দুই প্রার্থী জেসমিন ও শাহানূরকে সাক্ষী মানছেন নিপুণ।

এই অভিযোগের বিষয়ে পীরজাদা হারুন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ ধরনের কোনো কথা বা আলাপ তার (নিপুণ) সঙ্গে আমার হয়নি। এটা সঠিক না, আর এ রকম কথা হওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না।’

এ অভিযোগ ছাড়াও নিপুণ সংবাদ সম্মেলনে জানান, পীরজাদা মিশা-জায়েদ প্যানেলকে সমর্থন করেছেন এবং কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলকে করেছেন অসহযোগিতা। বারবার অভিযোগ করেও তার কাছ থেকে কোনো সাহায্য পাননি নিপুণ।

প্রতিদ্বন্দ্বী বিজয়ী প্রার্থী জায়েদ খান, পীরজাদা হারুন ও এফডিসির এমডি নুজহাত ইয়াসমিনকে গ্যাং বলেও উল্লেখ করেন নিপুণ।

এসব অভিযোগকেও ভিত্তিহীন বলেছেন পীরজাদা। বলেন, ‘নির্বাচনের পরেই সংবাদ সম্মেলনে আপনাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। সেখানে আমি পরিষ্কার বলেছি, কিছু মৌখিক অভিযোগ আমার কাছে এসেছিল এবং সঙ্গে সঙ্গে আমি সেগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা নিয়েছি।

শিল্পী সমিতির এবার যে নির্বাচন হয়েছে, নিঃসন্দেহে তা অতীতের যেকোনো নির্বাচনের চেয়ে বেশি আলোচনা তৈরি করেছে।

দুটি প্যানেল এই নির্বাচনে অংশ নেয়। নিপুণ যে প্যানেলের হয়ে অংশ নেন, তার সভাপতি প্রার্থী ছিলেন ইলিয়াস কাঞ্চন। অন্যদিকে অন্য প্যানেলটির নেতৃত্বে ছিলেন মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান।

ভোটে ইলিয়াস কাঞ্চন বেশ বড় ব্যবধানেই জিতেছেন। তবে অল্প ভোটে হেরেছেন নিপুণ।

শীর্ষ দুই পদের মতোই দুই প্যানেলেও বাকি পদগুলো ভাগাভাগি হয়েছে।

সব মিলিয়ে ১১টি পদে জয় পেয়েছে মিশা-জায়েদ প্যানেল। আর কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেল জয় পেয়েছে ১০টিতে।

এ বিভাগের আরো খবর