করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় সময় বাড়ছে না ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার। আজ সোমবারই শেষ হচ্ছে ‘২৬ তম বাণিজ্য মেলার’ মাসব্যপী আয়োজন।
রাজধানীর পূর্বাচলে মেলার স্থয়ী ভেন্যু বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শন কেন্দ্রে এদিন সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজেন করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণের হার প্রায় প্রতিদিনই আগের দিনকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। রোববার ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে মেলার সময়সীমা আর না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
করোনার কারণে গত বছর বন্ধ ছিল বাণিজ্য মেলা। অন্যবার আগারগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত হলেও এ বছর প্রথমবার পূর্বাচলে স্থায়ী ভেন্যুতে আয়োজন হয় এই মেলার। তবে নতুন ভেন্যু ও কারোনার কারণে ঠিক আশানুরূপ জমে ওঠেনি আয়োজন।
সাধারণত আগারগাঁওয়ের মেলার প্রতি বছরই সময় বাড়ত। মেলায় অংশ নেয়া ব্যবসায়ী ও গেট ইজারাদার প্রতিষ্ঠানগুলো সময় চাইলে তা তিন থেকে চার দিন এমনকি সপ্তাহ খানেকও বেড়ে যেত।
এবার সময় বাড়ানোর জন্য আনুষ্ঠানিক কোনো আবেদন আসেনি। সরকারের পক্ষ থেকেও সময় বাড়ানোর পক্ষে মত দেয়া হয়নি। সর্বশেষ ২০১৯ ও ২০২০ সালে বাড়ানো হয় মেলার সময়সীমা।
বাণিজ্য মেলার পরিচালক ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সচিব ইফতেখার আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের ওপর নির্দেশনা ছিল মেলার সময় আর বাড়বে না। তাছাড়া মৌখিকভাবে দু-একজন ব্যবসায়ী মেলার সময় বাড়ানোর জন্য বললেও আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ আবেদন করেনি।
‘কারোনার এ ভয়াবহ সময়ে এটা আর বাড়ানো উচিত হবে না। তাই সোমবারই হচ্ছে মেলার শেষ দিন। আমরা মেলা সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
এ বছর মেলায় অন্য বছরের তুলনায় স্টল ছিল অর্ধেকসংখ্যক। বিভিন্ন ক্যাটাগরির ২৩টি প্যাভিলিয়ন, ২৭টি মিনি প্যাভিলিয়ন, ১৬২টি স্টল এবং ১৫টি ফুড স্টল ছিল। আগারগাঁওয়ের মেলায় স্টল ছিল এর দ্বিগুণের বেশি।