টাঙ্গাইলে সদ্য ভূমিষ্ঠ এক কন্যাশিশুর গলাকাটা মরদেহসহ আরেক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
জেলার নাগরপুর থেকে রোববার সকাল ৯টার দিকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। অন্যদিকে দুপুর ১২টার দিকে সখীপুর থেকে অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নবজাতকের মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন নাগরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনোয়ার হোসেন।
তিনি জানান, সকালে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশের ড্রেন থেকে গলাকাটা অবস্থায় ১২ ঘণ্টা বয়সী এক কন্যাশিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রাতের কোনো একসময় হাসপাতালেই শিশুটির জন্ম হয়েছে।
এদিকে নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রোকনুজ্জামান খান জানান, শনিবার রাতে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরী হাসপাতালে প্রসব ব্যথা নিয়ে ভর্তি হয়। সঙ্গে তার মা এসেছিলেন। ভোরের দিকে ওই কিশোরী দীর্ঘক্ষণ বাথরুমে ছিল। বাথরুম থেকে বের হওয়ার পর তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে নাগরপুর থানার এসআই মনোয়ার হোসেন জানান, পুলিশ ওই কিশোরী ও তার মাকে তাদের নিজ বাড়ি থেকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, উদ্ধার হওয়া শিশুর মরদেহটি ওই কিশোরীর সন্তান।
তবে এ বিষয়ে এখনও তদন্ত চলছে বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
এদিকে সখীপুর উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের কালিদাসপাড়া এলাকা থেকে আনুমানিক ২৫ বছর বয়সী অজ্ঞাত এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
সখীপুর থানার এসআই মনির হোসেন জানান, সকালে স্থানীয়রা অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
স্থানীয়দের বরাতে এসআই আরও জানান, ওই যুবক মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। তবে তার পরিচয় জানা নেই কারও।