বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অরিত্রীর আত্মহত্যা: গভর্নিং বডির সদস্যের সাক্ষ্য

  •    
  • ৩০ জানুয়ারি, ২০২২ ১৮:৫২

২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর রাজধানীর শান্তিনগরে নিজ বাসায় ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয় অরিত্রী। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীকে আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলায় প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির সদস্য আতাউর রহমান আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলমের আদালতে রোববার সাক্ষ্য দেন তিনি। তার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণ ১৭ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করেছে।

এ নিয়ে মামলার ১৮ সাক্ষীর মধ্যে ৯ জনের সাক্ষ্য নিয়েছে আদালত।

আদালতে রোববার সাক্ষ্য গ্রহণের সময় মামলার দুই আসামি নাজনীন ফেরদৌস ও জিনাত আক্তার কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন।

২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর রাজধানীর শান্তিনগরে নিজ বাসায় ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয় অরিত্রী। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে।

অরিত্রীর আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে পরদিন রাজধানীর পল্টন থানায় তার বাবা দিলীপ অধিকারী বাদী হয়ে মামলা করেন। আসামি করা হয় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, প্রভাতি শাখার প্রধান জিনাত আক্তার ও শ্রেণি-শিক্ষিকা হাসনা হেনাকে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কাজী কামরুল ইসলাম দুই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেন। অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় শ্রেণি-শিক্ষিকা হাসনা হেনাকে অব্যাহতি দেয়ার আবেদনও করেন তিনি।

২০১৯ সালের ১০ জুলাই ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও শাখাপ্রধান জিনাত আক্তারের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

এজাহারে অরিত্রীর আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে বলা হয়, অরিত্রীর স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা চলছিল। ২০১৮ সালের ২ ডিসেম্বর সমাজবিজ্ঞান পরীক্ষা চলার সময় তার কাছে একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। এ জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের (বাবা-মা) ডেকে পাঠায়। ৩ ডিসেম্বর স্কুলে গেলে স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের জানায়, অরিত্রী মোবাইল ফোনে নকল করছিল, তাই তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এজাহারে অরিত্রীর বাবা আরও উল্লেখ করেন, ‘স্কুল কর্তৃপক্ষ মেয়ের সামনে আমাকে (বাবা) অনেক অপমান করেন। এ অপমান এবং পরীক্ষা দিতে না পারার মানসিক আঘাত সইতে না পেরে সে (অরিত্রী) আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।’

অরিত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও স্কুল কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটি প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় স্কুলের অধ্যক্ষসহ তিন শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর