প্রতিরক্ষা মহাহিসাব নিরীক্ষকের অধীন অডিটর পদে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে গ্রেপ্তার ইডেন মহিলা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও বগুড়ার দুপচাচিয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবা নাসরিন রূপাসহ ১০ জনকে আলাদাভাবে দুই মামলায় ছয় দিন জিজ্ঞাসাবাদ করতে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম তামান্না ফারাহ রমনা মডেল থানায় করা মামলায় রূপাসহ ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চার দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর এ আদেশ দেন।
আরেক মহানগর হাকিম আফনান সুমী কাফরুল থানার মামলায় হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের (সিজিএ) বরখাস্ত কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান আজাদসহ চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দুই দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
বিষয়টি আদালতের শাহবাগ থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক নিজামুদ্দিন ফকির নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।
গত ২১ জানুয়ারি দুপুরের পর থেকে রাত পর্যন্ত মিরপুর, কাকরাইল ও তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ গোয়েন্দা বিভাগ।
এ সময় তাদের থেকে ইয়ার ডিভাইস ছয়টি, মাস্টার কার্ড মোবাইল সিম হোল্ডার ছয়টি, পাঁচটি ব্যাংকের চেক, নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প সাতটি, স্মার্ট ফোন ১০টি, ফিচার মোবাইল ছয়টি, প্রবেশপত্র ১৮টি ও চলমান পরীক্ষার ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রের তিনটি সেট জব্দ করা হয়।
পরদিন ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত প্রত্যেকের দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
২৫ জানুয়ারি রিমান্ড শেষে আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়।
ওই দিন রমনা মডেল থানায় করা মামলায় মাহবুবা নাসরীন রুপা, আল আমিন আজাদ রনি, রাকিবুল হাসান, হাসিবুল হাসান, নাহিদ হাসান ও রাজু আহম্মেদকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ আলী।
আদালত তাদের কারাগারে পাঠিয়ে গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানির তারিখ ৩০ জানুয়ারি ঠিক করে। পরদিন তদন্ত কর্মকর্তা এই ছয়জনের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
ওই দিন হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের (সিজিএ) বরখাস্ত কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান আজাদ, নোমান সিদ্দিকী, নাইমুর রহমান তানজির ও শহিদুল্লাহকে কাফরুল থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোসহ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন ডিবি পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর নূর আলম সিদ্দিক।
আদালত আসামিদের কারাগারে পাঠিয়ে রিমান্ড শুনানির জন্য রোববার দিন ধার্য করেন।
এদিন আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত রিমান্ডের আদেশ দেন।