বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চলতি বছর মাথাপিছু আয় ২ লাখ ৩৯ হাজার টাকা: অর্থমন্ত্রী

  •    
  • ৩০ জানুয়ারি, ২০২২ ১৬:৫৮

দেশ যেভাবে এগোচ্ছে, তাতে আগামী অর্থবছরে জিডিপির আকার ৫০০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে আশাবাদী মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘জিডিপির আকার ৫০০ বিলিয়ন ডলার অর্জন হলে তা হবে দেশের ইতিহাসে মাইলফলক। আগামী বছর মাথাপিছু আয় হবে ৩ হাজার ৮৯ ডলার।’

চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে মাথাপিছু জাতীয় আয় ২ হাজার ৭৮৫ ডলার (২ লাখ ৩৯ হাজার ৩২৮ টাকা) হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ আয় ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৩ হাজার ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

অর্থনৈতিক বিষয় ও ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির রোববারের বৈঠক শেষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

চলতি অর্থবছরের বাজেটে জিডিপির প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয় ৭.২ শতাংশ। অর্থমন্ত্রী আশাবাদী, নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে, যা চলতি মূল্যে ৪৫৫ বিলিয়ন ডলার।

দেশ যেভাবে এগোচ্ছে, তাতে আগামী অর্থবছরে জিডিপির আকার ৫০০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে আশাবাদী মন্ত্রী। বলেন, ‘জিডিপির আকার ৫০০ বিলিয়ন ডলার অর্জন হলে তা হবে দেশের ইতিহাসে মাইলফলক। আগামী বছর মাথাপিছু আয় হবে ৩ হাজার ৮৯ ডলার।’

জিডিপির প্রবৃদ্ধি নিয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের প্রাক্কলন প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘তারা বলেছে, এ বছর বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ। তাদের হিসাব অনুমাননির্ভর এবং সংরক্ষণমূলক। আমি আশা করছি চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২ শতাংশ হবে।’ ‘প্রবৃদ্ধি বাড়লেও এর সুফল মুষ্টিমেয় কিছু লোক পাচ্ছে। সমাজে আয় বৈষম্য বাড়ছে। এর কারণ কী?’

এক সাংবাদিকের উল্লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘জিডিপি বাড়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হলে। জিডিপিতে শুধু উন্নয়ন থাকে না; দেশের মানুষের লেনদেনের হিসাব থাকে। বাজারে গিয়ে মানুষ যে সওদা করে, সে বিষয় যুক্ত থাকে।’

তিনি বলেন, ‘রেমিট্যান্সের আয় জিডিপিতে যায় না, তবে মাথাপিছু আয়ের হিসাবে যোগ হয়।’

অর্থমন্ত্রী প্রশ্ন করে বলেন, ‘জিডিপি বাড়ছে; রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। তাহলে সাধারণ মানুষ সুফল পাবে না কেন?’

দেশে ধনী-দরিদ্রদের মধ্যে ব্যবধান থাকার কোনো কারণ নেই বলেও জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘ব্যবধান নিরসনের জন্য সরকার যা যা করণীয়, তা অবশ্যই করবে। আয় বৈষম্য কমানোর জন্য সরকারের হাতে অনেক হাতিয়ার আছে। তার মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে ইনকাম ট্যাক্স।

‘যার যত বেশি আয় আছে, তিনি তত বেশি কর প্রদান করেন। আর যারা গরিব, ট্যাক্স দেন না তারা।

মুস্তফা কামাল বলেন, ‘গরিবদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ব্যবস্থা আছে। আমরা আশা করছি দেশ যেভাবে এগোচ্ছে, তাতে করে জাতির পিতার যে স্বপ্ন ছিল, কোনো আয় বৈষম্য থাকবে না, উত্তর-দক্ষিণ-পূর্ব-পশ্চিমের মধ্যে ভেদাভেদ থাকবে না, শহর-গ্রামের মধ্যে ভেদাভেদ থাকবে না, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা বৈষম্যহীন ও ন্যায়ভিত্তিক একটি সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারব।’

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমার কারণ কী, এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘যখন আমদানি বেশি করা হয়, তখন রিজার্ভের ওপর চাপ তৈরি হয়। কারণ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে আমদানি ব্যয় মেটানো হয়।

‘বর্তমানে আমাদের আমদানি বেশি হচ্ছে। ফলে ইমপোর্ট বিল বেশি পরিশোধ করতে হচ্ছে, যে কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কিছুটা কমেছে। এটা এখন ৪৫ থেকে ৪৬ বিলিয়ন ডলারে ওঠানামা করছে। আমি মনে করি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ভালো অবস্থানে আছে।’

এ বিভাগের আরো খবর