রাজধানীর মগবাজারে সাংবাদিক এমদাদুল হক খানকে মারধরের মামলায় জামিন পেয়েছেন রমনা থানা যুবলীগের সাবেক সহসভাপতি খোরশেদুল আলম ওরফে মাসুদ ও তার সহযোগী ইয়াসিন মোল্লা।
ঢাকার মহানগর হাকিম সৈয়দ রেজা নূর রোববার জামিনের এই এই আদেশ দেন।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সেগুনবাগিচা থেকে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শনিবার তাদের কারাগারে পাঠায় আদালত। এ সময় জামিন শুনানির জন্য রোববার দিন ধার্য করা হয়।
রোববার দুই আসামির পক্ষে আইনজীবী দীপংকর ঘোষ জামিন শুনানি করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে আসামিরা কিছুই জানেন না। তারা পরিস্থিতির শিকার। তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই। সম্পূর্ণ অন্যায় ও বেআইনিভাবে তাদের মামলায় সম্পৃক্ত করা হয়েছে।’
আদালতে মামলার বাদী সাংবাদিক এমদাদুল হক খান হাজির ছিলেন। আসামিদের জামিন দিলে আপত্তি নেই বলে আদালতকে জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘ তবে পরবর্তীতে আসামিদের সঙ্গে সুষ্ঠু মীমাংসা না হওয়া পর্যন্ত মামলা চলমান থাকবে।’
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত দুই আসামিকে জামিনের আদেশ দেন।
হাতিরঝিল থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক এএসএম মনিরুজ্জামান মন্ডল এসব তথ্য নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার রাতে যুবলীগের সাবেক নেতা ও খাদ্য পরিদর্শক মো. খোরশেদুল আলম মাসুদের নেতৃত্বে মগবাজারের পেয়ারাবাগের ভাড়া বাসায় ঢুকে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) সাবেক অর্থ সম্পাদক এমদাদুল হক খানের ওপর হামলা চালানো হয়।
ওই রাতে এমদাদুল হক খোরশেদুল আলম ও আরও অজ্ঞাত দুজনের বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় মামলা করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, এমদাদুল যে ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকেন, সেটি খোরশেদুলের স্ত্রীর নামে। এমদাদুল তিন বছরের লিখিত চুক্তিতে সম্প্রতি এ ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেন। বুধবার রাত ১১টার দিকে খোরশেদুল ও অজ্ঞাত দু-তিনজন এমদাদুলের ফ্ল্যাটে ঢুকে তাদের মারধর করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, এমদাদুলকে বাঁচাতে গেলে তার স্ত্রীকেও মারধর করেন এবং তার গলা থেকে সোনার চেইন ছিনিয়ে নেন মাসুদ। পরে তার সহযোগীদের নিয়ে বাড়ির গ্যারেজে থাকা মোটরসাইকলটি ভাঙচুর করেন তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, মূলত ফ্ল্যাট নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর দ্বন্দ্বের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে।