বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পোশাক খাত সবুজায়নে নীতি-বিনিয়োগের অভাব: সিপিডি

  •    
  • ৩০ জানুয়ারি, ২০২২ ১৬:০৪

মূল উপস্থাপনায় সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘বিশ্ববাজারে বস্ত্র ও তৈরি পোশাকের অবস্থান আরও ভালো করতে হলে পরিবেশবান্ধব বা সবুজ কারখানার বিকল্প নেই। শ্রমিকের জীবনমানের বিষয়টিও বিবেচনায় নিতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন এখন থেকেই সমন্বিত উদ্যোগ।’

দেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি খাত বস্ত্র ও তৈরি পোশাকের কারখানা সবুজায়ন হলে এ খাতের আয় বাড়বে, যার সুফল পাবে গোটা অর্থনীতি। সেই সঙ্গে পরিবেশেরও সুরক্ষা হবে। তবে সবুজায়নের পথে পর্যাপ্ত নীতি ও বিনিয়োগ, অর্থ স্বল্পতাসহ খাতসংশ্লিষ্টদের বেশ কটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে বলে মনে করে গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

রোববার সংস্থাটির এক অনুষ্ঠানে এসব চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি বেশ কিছু সুযোগ ও সমাধানের কথাও তুলে ধরা হয়।

রাজধানীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে ‘বাংলাদেশের বস্ত্র ও তৈরি পোশাক খাতে সবুজ পরিবর্তন’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী।

তৈরি পোশাক উৎপাদক ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসানসহ অন্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। মূল প্রবন্ধ তুলে ধরেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।

মূল উপস্থাপনায় ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘বিশ্ববাজারে বস্ত্র ও তৈরি পোশাকের অবস্থান আরও ভালো করতে হলে পরিবেশবান্ধব বা সবুজ কারখানার বিকল্প নেই। শ্রমিকের জীবনমানের বিষয়টিও বিবেচনায় নিতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন এখন থেকেই সমন্বিত উদ্যোগ।’

তিনি বলেন, ‘দেশের প্রধান রপ্তানি খাতটি ভালো করছে, রপ্তানিও বাড়ছে। তবে সামনের দিনে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম পরিবেশ ইস্যু। এ ক্ষেত্রেও ভালো করতে হবে। রানা প্লাজা ধসের পর নানা ধরনের কমপ্লায়েন্স পূরণে সক্ষম হয়েছে খাতটি। ফলে পরিবেশ ইস্যুতেও ভালো করার সুযোগ রয়েছে।

ফাহমিদা বলেন, যেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে সেগুলো হচ্ছে, দেশের অর্থনীতি ও তৈরি পোশাক খাতকে এগিয়ে নিতে নীতিসহায়তা ও অর্থনৈতিক সহায়ক পণ্যগুলো পর্যাপ্ত নয়। সবুজায়নের পথে কারখানা আধুনিকায়ন ও উৎপাদনশীলতার জন্য বিনিয়োগের অভাব রয়েছে। বিশেষ করে ছোট কারখানাগুলোর সে সক্ষমতা নেই বললেই চলে। আবার দীর্ঘদিন ধরে পোশাকপণ্যের দাম না বাড়ায় খাতটির উদ্যোক্তারাও আর্থিকভাবে আশানুরূপ সফলতা পাচ্ছেন না। কিন্তু পরিবেশবান্ধব কারখানা নির্মাণে দরকার বড় বিনিয়োগ। তাই গ্রিন ফ্যাক্টরি নির্মাণে আগ্রহে ভাটা পড়ছে।

অন্যান্য চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘পরিবেশগত দিকগুলো নিয়ে খাতসংশ্লিষ্টদের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে। একই সঙ্গে নতুন এ পরিবর্তনের জন্য খাতসংশ্লিষ্টদের পর্যাপ্ত তথ্য ও জ্ঞানের অভাবও বড় চ্যালেঞ্জ। তা ছাড়া আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে এ খাতের কর্মীদের জীবনমানে পরিবর্তন, কর্মপরিবেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, কারখানার দূষণ কমানোসহ অন্যান্য চ্যালেঞ্জও রয়েছে। তবে কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করে এ খাতে সবুজ কারখানা বাড়বে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি এর সুফল পাবে।

অনুষ্ঠানে সিপিডি জানায়, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে প্রায় ৪১ লাখ মানুষ নিয়োজিত। বছরে এখান থেকে প্রায় ৩২ বিলিয়ন ডলার আয় করে বাংলাদেশ, যা মোট রপ্তানির ৮৪ শতাংশের বেশি। তাই খাতটির ওপর বিশেষ নজর দিতে হবে।

পরিবেশবান্ধব কারখানা পরিচালনাকারী উদ্যোক্তারা জানান, পরিবেশবান্ধব কারখানা পরিচালনা খরচ অনেক বেশি। তার পরও বেশির ভাগ উদ্যোক্তা বিনিয়োগে আগ্রহী হলেও ক্রেতা-বায়াররা কর্মপরিবেশের মান উন্নয়নের কথা বললেও বাড়তি দাম দিতে চান না। একই সঙ্গে সরকারের নীতিসহায়তাও সবুজ শিল্পায়ন বান্ধব নয়। বেসরকারি খাতের পোশাকমালিকরা নিজ উদ্যোগে, বড় অঙ্কের বিনিয়োগ দিয়ে পরিবেশবান্ধব কারখানা পরিচালনা করলেও লাভজনক করা সম্ভব হচ্ছে না।

তারা আরও জানান, পোশাকের ন্যায্য মূল্য দিতে গড়িমসি করছেন অনেক ক্রেতা। তাই সরকারকে প্রণোদনা বাড়াতে হবে। এ জন্য একটি তহবিলও আছে। কিন্তু জটিল নানা শর্তের কারণে উদ্যোক্তারা তহবিলটি থেকে সুফল পাচ্ছেন না।

এ বিভাগের আরো খবর