বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ধানের নতুন জাত মাঠে নেয়ার নির্দেশ

  •    
  • ৩০ জানুয়ারি, ২০২২ ১৪:০৮

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘এ অবস্থায় হাওর, উপকূলসহ প্রতিকূল এলাকায় ধানের চাষ সম্প্রসারণ এবং নতুন উদ্ভাবিত উচ্চ উৎপাদনশীল জাতগুলোকে দ্রুত মাঠে নিয়ে যেতে হবে। এ ক্ষেত্রে বিজ্ঞানী, সম্প্রসারণকর্মীসহ সব কর্মকর্তার সমন্বিত ও নিবিড়ভাবে কাজ করতে হবে।’

দেশে পর্যাপ্ত মজুত থাকার পরও চালের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না সরকার। তাই উৎপাদন আরও বাড়াতে নতুন উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান দ্রুত মাঠে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।

সচিবালয়ে রোববার সকালে কৃষি মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এ নির্দেশ দেন মন্ত্রী।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘রেকর্ড উৎপাদন ও সর্বকালের সর্বোচ্চ সরকারি মজুত থাকার পরও দেশে চালের দাম নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। চাল আমাদের প্রধান খাদ্য, যে কোনো মূল্যে চালের উৎপাদন বাড়াতে হবে।’

উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত উদ্ভাবনে অনেক দিন থেকেই কাজ করে যাচ্ছে ধান গবেষণা প্রতিষ্ঠানসহ দেশের বিজ্ঞানীরা। এসব জাত প্রতিকূল আবহাওয়া ও পরিবেশে খাপখাইয়ে উৎপাদন করতে পারা যাবে।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘এ অবস্থায় হাওর, উপকূলসহ প্রতিকূল এলাকায় ধানের চাষ সম্প্রসারণ এবং নতুন উদ্ভাবিত উচ্চ উৎপাদনশীল জাতগুলোকে দ্রুত মাঠে নিয়ে যেতে হবে। এ ক্ষেত্রে বিজ্ঞানী, সম্প্রসারণকর্মীসহ সব কর্মকর্তাকে সমন্বিত ও নিবিড়ভাবে কাজ করতে হবে।’

দেশে গত প্রায় দুই বছর থেকে উৎপাদনের রেকর্ড হলেও হঠাৎই বেড়ে যায় চালের দাম। দুই বছরের ব্যবধানে চালের দাম অন্তত কেজিতে ৫ থেকে প্রায় ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। চালের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে সরকার বিভিন্ন সময় মধ্যস্বত্বভোগীদের দায়ী করলেও তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি।

এ জন্য সরকারকে ভর মৌসুমেও বিদেশ থেকে চাল আমদানি করতে হয়েছে। আমদানি করার কারণও ছিল দেশে চালের দাম নিয়ন্ত্রণ রাখা। সেটিও সম্ভব হয়নি।

এমন অবস্থায় কৃষিমন্ত্রী বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তাদের কৃষকপর্যায়ে মাঠে উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান চাষাবাদের নির্দেশ দেন।

এ সময় কৃষিমন্ত্রী প্রকল্প পরিচালক হওয়ার জন্য তদবির না করতে কর্মকর্তাদের পরামর্শ দেন। বলেন, ‘পেশাগত দক্ষতা, যোগ্যতা, নেতৃত্ব ও ব্যবস্থাপনার সামর্থ্যসহ নানা দিক বিবেচনা করে প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ দেয়া হয়। পিডি হয়ে অনিয়ম দুর্নীতি করে অনৈতিক সুযোগ-সুবিধা নেবেন বা পাবেন- এই আশায় তদবির করে পিডি হবেন না।

‘আর যারা পিডি হয়েছেন, তাদের অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রকল্পের অর্থ ব্যয় করতে হবে। সততা, নিষ্ঠা ও সতর্কতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।’

সভায় জানানো হয়, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে কৃষি মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের সংখ্যা ৭১টি। আর মোট বরাদ্দ ২ হাজার ৯২৮ কোটি টাকা। ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি হয়েছে প্রায় ৩২ শতাংশ, যা জাতীয় গড় অগ্রগতির চেয়ে ৮ শতাংশ বেশি। এ সময়ে জাতীয় গড় অগ্রগতি হয়েছে ২৪ শতাংশ।

এ বিভাগের আরো খবর