বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পিএইচডি গবেষণায় জালিয়াতি: পদক্ষেপ জানাবে ঢাবি-ইউজিসি

  •    
  • ৩০ জানুয়ারি, ২০২২ ১৩:৫৯

বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি ফাতেমা নজীবের হাইকোর্ট বেঞ্চে রোববার সময় আবেদন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ইউজিসি। পরে আদালত প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুই সপ্তাহের সময় দিয়ে এর মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছে।

পিএইচডি গবেষণা অভিসন্দর্ভে (থিসিস) জালিয়াতি রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আলাদা দুটি কমিটি করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

কমিটির প্রতিবেদন আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতে জানাতে সময় নিয়েছে প্রতিষ্ঠান দুটি।

বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি ফাতেমা নজীবের হাইকোর্ট বেঞ্চে রোববার সময় আবেদন করে দুই প্রতিষ্ঠান। পরে আদালত তাদের দুই সপ্তাহের সময় দিয়ে এর মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছে।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। অন্যদিকে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান লিংকন।

পরে লিংকন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পিএইচডি গবেষণা জালিয়াতি রোধে পদক্ষেপ নিতে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে জানিয়ে আজকে তারা সময় আবেদন করে। আদালত তাদের দুই সপ্তাহের সময় দিয়েছেন। এ সময় আমরা আদালতে বলেছি, এরপর যাতে আর সময় না দেয়া হয়।’

‘ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি গবেষণার ৯৮% নকল’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে ২০২০ সালের ২১ জানুয়ারি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টের আইনজীবী মনিরুজ্জামান লিংকন রিট করেন।

আদালত তার রিটের শুনানি নিয়ে একই বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি সরকারি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি ও সমমানের ডিগ্রি কীভাবে অনুমোদন করা হয়, তা খতিয়ে দেখে তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে ইউজিসিকে নির্দেশ দেয়।

শিক্ষকের পিএইচডি গবেষণায় নকল যাচাইয়ে তদন্ত করে ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের পিএইচডি গবেষণায় নকল নিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ৯৮ শতাংশ হুবহু নকল পিএইচডি গবেষণা অভিসন্দর্ভের (থিসিস) মাধ্যমে ‘ডক্টরেট’ ডিগ্রি নিয়েছেন ঢাকা ওষুধপ্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবুল কালাম লুৎফুল কবীর। এই গবেষণার সহতত্ত্বাবধায়ক অভিযোগ করেছেন, একাধিকবার অনুরোধ করলেও লুৎফুল কবীর তাকে থিসিসের কোনো কপি দেননি।

২০১৪ সালের দিকে ‘টিউবারকিউলোসিস অ্যান্ড এইচআইভি কো-রিলেশন অ্যান্ড কো-ইনফেকশন ইন বাংলাদেশ: অ্যান এক্সপ্লোরেশন অব দেয়ার ইমপ্যাক্টস অন পাবলিক হেলথ’ শীর্ষক ওই অভিসন্দর্ভের কাজ শুরু করেন আবুল কালাম লুৎফুল কবীর। তার এ গবেষণার তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন ওষুধপ্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক আবু সারা শামসুর রউফ। আর সহতত্ত্বাবধায়ক ছিলেন বিভাগের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক, অধ্যাপক আ ব ম ফারুক।

গবেষণায় ৯৮ শতাংশ হুবহু নকলের বিষয়টি নজরে আসার পর গত বছরের সেপ্টেম্বরে একজন গবেষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানের কাছে বিষয়টি নিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। এ ছাড়া লুৎফুল কবীরের অভিসন্দর্ভে নিজের একটি গবেষণা থেকে চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ ও তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানকে চিঠি দেন সুইডেনের গোথেনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জোনাস নিলসন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গবেষণার চৌর্যবৃত্তি শনাক্ত করার বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় সফটওয়্যার টার্নইটইনের মাধ্যমে অভিসন্দর্ভটি যাচাই করে দেখা যায়, ২০১২ সালে রাজধানীর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী-গবেষকের জমা দেয়া একটি ‘স্টুডেন্ট পেপারস’-এর সঙ্গে লুৎফুল কবীরের নিবন্ধের ৯৮ শতাংশ হুবহু মিল রয়েছে। এটিসহ মোট ১৭টি জার্নাল, আর্টিকেল ও গবেষণাপত্রের সঙ্গে নিবন্ধটির বিভিন্ন অংশের উল্লেখযোগ্য মিল পাওয়া গেছে, যেগুলোর সবই লুৎফুল কবীরের অভিসন্দর্ভের আগে প্রকাশ হয়।

এ বিভাগের আরো খবর