মাইলেজ ইস্যুতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিতর্কিত প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে রেলসচিবের সঙ্গে আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন রানিং স্টাফ কর্মচারী ঐক্য পরিষদের নেতারা।
রেলভবনে রোববার দুপুর ৩টার দিকে আলোচনা সভার বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) জাহাঙ্গীর হোসেন।
পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের সিনিয়র ওয়েলফেয়ার অফিসার মো. ইব্রাহিম স্বাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে শনিবার রাতে কর্মচারী নেতাদের আলোচনার বিষয়টি জানানো হয়।
জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সচিব মহোদয় আলোচনা করতেই ঢাকায় ডেকেছেন। আশা করছি আলোচনার মাধ্যমে একটি সমাধান বের হয়ে আসবে।’
ট্রেনচালক (লোকোমাস্টার), গার্ড ও টিকিট চেকার (টিটি), ট্রেন পরিচালক ও ট্রাভেলিং টিকিট এক্সামিনারদের (টিটিই) বলা হয় রানিং স্টাফ।
জনবল সংকটে রানিং স্টাফরা সাধারণত ১৫ থেকে ১৮ ঘণ্টা টানা কাজ করেন। রেলওয়ে রানিং স্টাফদের যে অতিরিক্ত কাজ করতে হয়, ব্রিটিশ শাসনামল থেকে তা মাইলেজ নামে পরিচিত। এই সুবিধায় প্রতি ৮ ঘণ্টার জন্য এক দিনের বেতনের সমপরিমাণ টাকা তারা পান।
রেলওয়ের ১৮৬২ সালের আইন অনুযায়ী ট্রেনচালক, সহচালক, পরিচালক ও টিকিট চেকাররা বিশেষ এই আর্থিক সুবিধা পেয়ে আসছেন।
তবে গত বছরের ৩ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব শামীম বানু শান্তি স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রানিং স্টাফরা এতদিন ধরে পেনশনে মাইলেজের জন্য যে অতিরিক্ত ভাতা পেতেন তা আর পাবেন না।
পেনশনে মাইলেজ ভাতা অন্তর্ভুক্তির দাবি আদায়ে আন্দোলনে নামেন রানিং স্টাফরা। গত ২৫ জানুয়ারি থেকে তারা ৮ ঘণ্টা অতিরিক্ত কাজ করা থেকে বিরত থাকা শুরু করেন।
রেলওয়ে রানিং স্টাফ কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুজিবর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের দাবি একটাই, প্রজ্ঞাপন বাতিল করে আগের নিয়মে মাইলেজ সুবিধা ও বেতন-ভাতা দিতে হবে। রেলসচিবের সঙ্গে আলোচনার জন্য আমরা যাচ্ছি কিন্তু আন্দোলন স্থগিত করা হয়নি।
‘আলোচনায় কোনো সমাধান না এলে সোমবার থেকে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করবে সব রানিং স্টাফ।’
মাইলেজ ইস্যুতে চলমান আন্দোলনের কারণে শনিবার রাত পর্যন্ত ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ঈশ্বরদীর ৩০টি ট্রেনের যাত্রা বাতিল হয়েছে। সচল আছে আন্তঃনগর ট্রেন।