পাঁচ বছরের দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর শুরু হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের হল সম্মেলন। বেলা ১১টা থেকে সম্মেলনের কার্যক্রম শুরু হয়। তবে মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে।
জাতীয় সংগীত গেয়ে শুরু অনুষ্ঠানে করা হয় পতাকা উত্তোলন। আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতারা ১১টা ৫৫ মিনিটের দিকে পতাকা উত্তোলন করেন।
এ সময় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক এ বি এম মোজাম্মেল হক, ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য উপস্থিত ছিলেন।
পরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি বরিকুল ইসলাম বাঁধনের সভাপতিত্বে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস।
প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন।
সম্মেলনকে ঘিরে অনেকটা সাজ সাজ রব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। হল ও ক্যাম্পাস বিশেষ করে সম্মেলনস্থল টিএসসি সাজানো হয়েছে নতুন আঙ্গিকে। টিএসসি প্রাঙ্গণ থেকে স্মৃতি চিরন্তন পর্যন্ত রাস্তায় বসানো হয়েছে ছাত্রলীগ এবং বাংলাদেশের পতাকা।
প্রতিবার কর্মীদের উপস্থিতিতে হল সম্মেলন শুরু হলেও করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে এবার কর্মীদের রাখা হয়নি। শুধু কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ এবং হল সম্মেলনে পদপ্রত্যাশী নেতাদেরই সম্মেলনস্থলে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, সম্মেলনে প্রবেশের ক্ষেত্রে আমন্ত্রণপত্রের সঙ্গে অন্তত এক ডোজ টিকা নেয়ার প্রমাণপত্র দেখাতে হবে।
সরেজমিনে টিকা নেয়ার কোনো কার্ড গেটে থাকা স্বেচ্ছাসেবকরা পরীক্ষা করছেন না। আমন্ত্রণপত্র দেখিয়েই সম্মেলনে প্রবেশ করতে পারছেন নেতারা।
সম্মেলন নিয়ে অনুভূতি জানিয়ে স্যার এ এফ রহমান হল ছাত্রলীগের শীর্ষ পদপ্রত্যাশী আশিক অমি বলেন, ‘দীর্ঘ সময় পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের হল সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এটি আমাদের ছাত্রলীগকর্মীদের জন্য অনেক আকাঙ্ক্ষিত বিষয়। আমরা বিশ্বাস করি, ছাত্রলীগের সাংগঠনিক গতিশীলতা পূর্বের চেয়েও আরও বেশি কর্মমুখর ও গতিশীল হবে।’
তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগের হল সম্মেলন বরাবরের মতোই আমাদের নব-উদ্যোমে আন্দোলিত করে এবং আদর্শিক অঙ্গীকারে আরও বেশি লড়াকু ও শাণিত থাকার জন্য স্পৃহা জোগায়। এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে যারাই নেতৃত্বে আসুক না কেন আমরা চাইব, তারা ছাত্রলীগের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে আরও ঊর্ধ্বে তুলে ধরবে।’
করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নির্দেশনা মেনে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা জানিয়েছে ছাত্রলীগ। সম্মেলনে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী, পদপ্রত্যাশী নেতা-কর্মী, অন্য ছাত্র সংগঠনের আমন্ত্রিত অতিথি, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা ও সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা উপস্থিত আছেন।