বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনায় ফের লোকসানের শঙ্কায় প্রতিমাশিল্পীরা

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৩০ জানুয়ারি, ২০২২ ০৯:০২

দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে প্রতিমা তৈরির কাজ করেন পরেশ চন্দ্র পাল। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন ধরনের প্রতিমা তৈরি করেই সংসার চালিয়ে আসছি। কিন্তু গত দেড় বছর করোনার কারণে পূজা-অর্চনা কমে যাওয়ায় প্রতিমার চাহিদাও কমে গেছে। তখন থেকেই অনেক কষ্টে দিন কাটছে।’

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজা আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি। শেষ সময়ে সরস্বতীকে সাজিয়ে তুলতে ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা কারিগররা। তবে ফের করোনার কবলে পড়ার শঙ্কায় দিন কাটছে কারিগরদের।

প্রতি বছরই মন্দিরের পাশাপাশি জেলা শহর ও বিভিন্ন উপজেলার পাড়া-মহল্লায়ও হয় বিদ্যার দেবীর পূজা। পূজার জন্য প্রতিমা বানিয়ে লাভবান হন কারিগররা। চাহিদাও থাকে বেশ।

তবে এ বছর প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করলেও করোনার কারণে ক্রেতার সংকটে রয়েছেন কারিগররা।

শহরের পৌর এলাকার ভাজনডাঙ্গা পালপাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, প্রতিমার কাঠামো তৈরির পর এখন চলছে মাটির কাজ। রোদে শুকাতে দেয়া হয়েছে সেগুলো। কয়েক দিনের মধ্যেই রঙের কাজ শুরু হবে। ওই এলাকায় প্রায় এক হাজার প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে বিক্রির জন্য। বাড়ির পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও অংশ নিয়েছেন প্রতিমা তৈরির কাজে।

কারিগর প্রদীপ চন্দ্র পাল জানান, গত বছর বাণী-অর্চনার জন্য ১০০টি প্রতিমা তৈরি করেছিলেন। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এ বছর তৈরি করছেন ৬০টি। এরপরও সব কটি বিক্রি হবে কি না তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘৫০০ থেকে ১০ হাজার টাকা দামের প্রতিমা রয়েছে আমার কাছে। কিন্তু এখনও কোনো অর্ডার পাইনি। ক্রেতা আসছে না। তাছাড়া করোনার কারণে ভালো দাম পাওয়া যাবে কি না তা নিয়েও সন্দেহ আছে।’

আসছে সরস্বতী পূজায় প্রতিমা তৈরির কাজে সহায়তা করছেন নারীরাও। ছবি: নিউজবাংলা

পাচু গোপাল পাল বলেন, ‘গত বছরও করোনার কারণে প্রতিমা বানিয়ে অনেক লোকসান হয়েছে। এ বছরও করোনা বেড়ে যাওয়ায় চিন্তায় আছি। প্রতিমা বানিয়ে রাখছি, কিন্তু বিক্রি হবে কি না জানি না।’

তিনি আরও বলেন, ‘গত দেড় বছর ধরে পরিবার নিয়ে কষ্টে জীবন যাপন করছি। সরকারের পক্ষ থেকেও কোনো সহায়তা পাইনি আমরা।’

গৃহবধূ সুচিত্রা পাল বলেন, ‘বাড়ির সবাই প্রতিমা তৈরির কাজে সহায়তা করি। প্রতিমা বিক্রি করে যা লাভ হয় তা দিয়েই সংসার চলে। কিন্তু করোনার কারণে ব্যবসার অবস্থা ভালো না।’

প্রতিমা তৈরির কারিগর বিনয় পাল বলেন, প্রতিদিন ৭০০ টাকা মজুরি হিসেবে আমি প্রতিমা তৈরির কাজ করি। করোনার কারণে এ বছর কাজ কম, তাই খুব কষ্টে জীবন যাপন করছি।

দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে প্রতিমা তৈরির কাজ করেন পরেশ চন্দ্র পাল। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন ধরনের প্রতিমা তৈরি করেই সংসার চালিয়ে আসছি। কিন্তু গত দেড় বছর করোনার কারণে পূজা-অর্চনা কমে যাওয়ায় প্রতিমার চাহিদাও কমে গেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ বছর ভেবেছিলাম সরস্বতী প্রতিমা বানিয়ে লাভ করতে পারব, কিন্তু করোনা আবার বেড়ে যাওয়ায় প্রতিমার অর্ডার কমে গেছে। কষ্টে দিন পার করছি কোনো মতে। সরকার সহায়তা করলে আমরা ভালোভাবে বাঁচতে পারতাম।’

এ বিভাগের আরো খবর