আগামী দুই বছর দেশের বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে লবিস্ট ষড়যন্ত্র এবং বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের করণীয়’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় শনিবার এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
পররাষ্টমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী দুই বছর অনেক ষড়যন্ত্র হবে। বানোয়াট মিথ্যা অপবাদ আসবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্টের সদস্যের চিঠি লেখানোর মতো আরও অনেক চিঠি লেখানো হতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াত ষড়যন্ত্র করছে। বিএনপি যুক্তরাষ্ট্রের নেতাদের কাছে ১৮টি চিঠি দিয়েছে। এসব চিঠিতে অসত্য প্রচারণা চালানো হয়েছে। বিএনপি লবিস্ট নিয়োগ করে যুক্তরাষ্ট্রকে বলেছে, বাংলাদেশে কোনো সহায়তা দেবেন না।’
‘ভাসানচর নিয়েও দলটি অপপ্রচার চালিয়েছে, বলেছে ভাসানচর গেলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে। সেখানে আমেরিকার নিরাপত্তা কিভাবে বিঘ্নিত হয়েছে, তার সদুত্তর দিতে হবে দলটিকে।’
বিএনপির লবিস্ট নিয়োগ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশে অনেকেই লবিস্ট নিয়োগ করে। ব্যবসা ও রাজনৈতিক কারণে লবিস্ট নিয়োগ করা হয়। অন্য কোনো দেশের বিরোধীদল দেশের বিরুদ্ধে লবিস্ট নিয়োগ করে না। কিন্তু বিএনপি লবিস্ট নিয়োগে ৪ দশমিক ১৩ মিলিয়ন ডলার খরচ করেছে।
‘আমরা বলতে চাই, বিএনপি-জামায়াত লবিস্ট নিয়োগের হিসাব নিকাশ দেখিয়েছে কি না। দলটি নির্বাচন কমিশনে সম্পদের হিসাবে লবিস্টের খরচ দাখিল করেছে কি না তা খতিয়ে দেখতে হবে। এতে দলটির নিবন্ধন বাতিল করা যায় কি না দেখতে হবে। এই টাকা বৈধভাবে গেছে কি না, তারও ফায়সালা হওয়া দরকার।’
এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘বিএনপি কত নিচে নামতে পারে তার একটি উদাহরণ দিতে চাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র শেখ সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরিবারকে তারা কিডন্যাপ করতে চেয়েছিল। তবে, সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। ’
বিএনপিকে নোংরা পথ পরিহার করে রাজনৈতিকভাবে আওয়ামী লীগকে মোকাবিলার পরামর্শ দেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের লবিস্ট আমাদের দূতাবাস। তারা আমাদের এক নম্বর লবিস্ট। তবে দেশের জন্য নিজের পয়সায় অনেকেই লবিস্টের কাজ করেন। আমিও দেশের জন্য লবিস্টের কাজ করেছি।’
র্যাব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘র্যাবের কারণেই সন্ত্রাস কমেছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় তারা কাজ করছেন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। তবে, র্যাবের বিরুদ্ধেই এখন ষড়যন্ত্র চলছে। র্যাব না থাকলে এক দলের সুবিধা হয়। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারবে। বাংলাদেশকে অশান্তির জনপদে পরিণত করতে পারবে।’
ঢাকার সঙ্গে ওয়াশিংটনের গভীর সম্পর্ক রয়েছে জানিয়ে মোমেন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের গভীর সম্পর্ক। তারা এখানে অনেক বিনিয়োগ করেছে। এতে আমাদের উন্নয়ন হয়েছে। তবে এই বিনিয়োগ যেন না করে, সেজন্য লবিং হয়েছে। যারা এসব করেছে, তারা বাংলাদেশের মানুষের মঙ্গল চায় না। এটা নিয়ে দেশবাসীর প্রশ্ন করা উচিত। ’