আগামী ৩১ জানুয়ারি থেকে বেনাপোলের বিপরীতে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে অনির্দিষ্টকাল ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনসহ ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন।
পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি কাজে নতুন এলপি ম্যানেজারের নিত্যনতুন আইনে নানা হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।
হয়রানি বন্ধসহ নতুন এলপি ম্যানেজারের প্রত্যাহার দাবিতে দফায় দফায় বৈঠক ও বিক্ষোভ সমাবেশ করছেন তারা।
পেট্রাপোল বন্দরের স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চন্দ্র জানান, করোনার কারণে তাদের ব্যবসা আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে। আগে যেখানে ২৪ ঘণ্টায় ৭০০ থেকে সাড়ে ৭০০ পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে রপ্তানি হতো, করোনার কারণে সেখানে মাত্র সাড়ে ৩০০ ট্রাক পণ্য রপ্তানি হচ্ছে।
এ ছাড়া নতুন এলপি ম্যানেজার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কোনো কথা না বলেই বন্দর এলাকায় প্রবেশের ওপর নতুন নতুন আইন তৈরি করছেন বলেও অভিযোগ করেন কার্তিক।
তিনি বলেন, ‘নতুন এলপি ম্যানেজার বিএসএফকে কাজে লাগিয়ে পরিবহনকর্মীদের বন্দরের ভেতর প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না। আইসিপিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে বিএসএফের বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে পরিবহনকাজে জড়িত কর্মীদের।’
বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে তাই গত বৃহস্পতিবারও পেট্রাপোল সেন্ট্রাল পার্কিংয়ের সামনে বিক্ষোভ করেছে ভুক্তভোগী পক্ষগুলো।
ধর্মঘটের ডাক দিয়ে তারা জানিয়েছেন, বন্দরের ভেতরে প্রবেশে বাধাসহ হয়রানি বন্ধ না হলে আগামী ৩১ জানুয়ারি সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দেয়া হবে।
স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক জানান, ইউনিক কার্ড ছাড়া কোনো পরিবহনকর্মীকে আইসিপি ও বন্দর অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। এতে আমদানি-রপ্তানি কাজে জড়িতদের নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এ জন্য গত সপ্তাহেও দুই দিন ৪ ঘণ্টা করে বাংলাদেশে পণ্য রপ্তানি বন্ধ রাখা হয়েছিল।
ব্যবসায়ীসহ পরিবহনকর্মীদের দাবি, নতুন কার্ড তৈরি না হওয়া পর্যন্ত পুরোনো নিয়মে তাদের আইসিপিতে প্রবেশ করতে দিতে হবে। দাবি না মানা পর্যন্ত এ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশের বেনাপোল বন্দরের ডেপুটি পরিচালক মামুন তরফদার বলেন, ‘আমদানি-রপ্তানি বন্ধ বা পেট্রাপোল বন্দরে ধর্মঘটের কোনো পত্র আমরা পাইনি। শুনেছি ওপারে এলপি ম্যানেজারের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী ও ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন আন্দোলন করছেন। তবে আন্দালন না করার জন্য ওপারে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রশাসনের বৈঠক চলছে।’
মামুন জানান, আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও এ পারে লোড-আনলোড প্রক্রিয়া স্বাভাবিক থাকবে।