চাহিদা অনুয়ায়ী আমদানির মাধ্যমে রোজায় নিত্যপণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকবে বলে নিশ্চিত করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
লালমনিরহাটের শেখ শফিউদ্দিন কমার্স কলেজ মাঠে শনিবার বিকেলে রোটারি ক্লাবের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণের সময় তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘রমজান উপলক্ষে ছোলা, চিনি, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পর্যাপ্ত পরিমাণে আমদানি করবে সরকার। প্রয়োজনে টিসিবির মাধ্যমে নিত্যপণ্য বিতরণ জোরদার করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সাধারণত ব্রাজিল থেকে তেল আমদানি করে থাকি। ব্রাজিল তেলের দাম কমালে দেশেও দাম কমবে। এ ছাড়া দাম কমার সম্ভাবনা নেই।
এ সময় জেলা প্রশাসক আবু জাফর, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বৈঠক
এদিকে ১৯ জানুয়ারি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠকে ভোজ্যতেলের হালনাগাদ মূল্য নির্ধারণে অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক পরিস্থিতি অধিকতর পর্যালোচনা করতে ব্যবসায়ীদের কাছে ১৫ দিন সময় চেয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
এদিন মন্ত্রী বলেন, ‘আমি ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করেছি, আপনারা আরেকটু সময় দেন আমাদের। মন্ত্রণালয়ের অফিশিয়ালদের (কর্মকর্তা) বলে দিয়েছি, আপনারা অধিকতর সঠিক তথ্যটি আবারও সংগ্রহ করুন।
‘ঠিক ১৫ দিন পর ১৬ দিনের মাথায় ৬ ফেব্রুয়ারি আমরা আবার মন্ত্রণালয়ে ব্যবসায়ীদের নিয়ে বসব। ওই বৈঠকেই ভোজ্যতেলের একটি হালনাগাদ দাম নির্ধারণ করব। তখন বাড়ানোর প্রয়োজন হলে বাড়াব এবং কমানোর প্রয়োজন হলে কমাব।’
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ভোজ্যতেলের মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি সংশোধন ও ব্যয় বিবরণী হালনাগাদসংক্রান্ত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য দেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
ব্রিফিংয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যারা ভোজ্যতেল আমদানি করে, তারা বারবার বলছে আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় ভোজ্যতেলের দাম বাড়াতে। এখন দাম কমলেও তারা যখন আমদানি করেছে, তখন দাম বাড়তিই ছিল, তবে বিষয় হলো যে ক্যালকুলেশন করে আমরা ভোজ্যতেলের মূল্য নির্ধারণ করি, সেটা নিয়ে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে।
‘ইতোমধ্যে আমরা সে কাজটি করেছি, কিন্তু আজকের আলোচনায় কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। আমরা বলেছি এখন যেটা দাম আছে, তার থেকে কিছুটা হলেও আপনারা কমান।’
রমজানে ভোজ্যতেলের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকা নিয়ে সরকারের উদ্যোগের বিষয়ে জানতে চাইলে টিপু মুনশি বলেন, ‘সরকারের উদ্যোগ রয়েছে। ব্যবসায়ীরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন, কিন্তু তখন সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় আমাদের মানসিকতা।
‘আমরা মুখে বলি আল্লাহ-খোদা, কিন্তু রমজানে এই ধর্মীয় অনুভূতি অনেকের মধ্যেই কাজ করে না। আমরা অনুরোধ করব, যারা রমজান ঘিরে কিছু করার চেষ্টা করেন, তারা সংযত হোন।’