রাজধানীর মগবাজারে সাংবাদিক এমদাদুল হক খানকে মারধরের মামলায় যুবলীগের ঢাকা দক্ষিণের সাবেক সহসভাপতি খোরশেদুল আলম ওরফে মাসুদ ও তার সহযোগী ইয়াসিন মোল্লাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
শনিবার ঢাকা মহানগর হাকিম নিভানা খায়ের জেসী এ আদেশ দেন।
এদিন এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাতিরঝিল থানার উপপরিদর্শক (নিরস্ত্র) রহমত উল্লাহ রনী দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন।
আদালত আসামিদের কারাগারে পাঠিয়ে রোববার জামিন শুনানির জন্য তারিখ ঠিক করে।
হাতিরঝিল থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক এ এস এম মনিরুজ্জামান মণ্ডল নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
গত বুধবার রাতে যুবলীগের সাবেক নেতা ও খাদ্য পরিদর্শক মো. খোরশেদুল আলম মাসুদের নেতৃত্বে পেয়ারাবাগের ভাড়া বাসায় ঢুকে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) সাবেক অর্থ সম্পাদক এমদাদুল হক খানের ওপর হামলা চালানো হয়।
ওই রাতে এমদাদুল হক খোরশেদুল আলম ও আরও অজ্ঞাত দুজনের বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় মামলা করেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সেগুনবাগিচা থেকে মাসুদ ও তার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলার এজাহারে বলা হয়, এমদাদুল যে ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকেন, সেটি খোরশেদুলের স্ত্রীর নামে। এমদাদুল তিন বছরের লিখিত চুক্তিতে সম্প্রতি এ ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেন। বুধবার রাত ১১টার দিকে খোরশেদুল ও অজ্ঞাত দু-তিনজন এমদাদুলের ফ্ল্যাটে ঢুকে তাদের মারধর করেন। ওই ফ্ল্যাটে আসার পর থেকেই ফ্ল্যাট ছেড়ে দিতে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছেন মাসুদ।
পুলিশ জানিয়েছে, মূলত ফ্ল্যাট নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর দ্বন্দ্বের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে।