চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি করা হিমায়িত খাদ্য, গার্মেন্টস উপকরণ, মাইক্রোবাস, রাসায়নিকসহ খালাসবিহীন ৭২ লট পণ্য নিলামে তুলছে কাস্টমস। মঙ্গলবার এই নিলাম অনুষ্ঠিত হবে।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপকমিশনার (নিলাম) আলী রেজা হায়দার শনিবার দুপুরে এ তথ্য জানান।
রেজা হায়দারের দেয়া তথ্যমতে, বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে খালাসবিহীন অবস্থায় ১৬টি কনটেইনারে করে আসা ২৩ হাজার ২০০ ব্যাগ রসুন রয়েছে। যার ওজন ৪৯৩ টন। এ ছাড়া রয়েছে ২৯ হাজার ৩৪৪ কেজি হিমায়িত মহিষের মাংস, ১ লাখ ৬ হাজার ৩২০ কেজি আটা-ময়দা, ২১ লাখ ৬৯ হাজার টাকার মুদি পণ্য ও কোমল পানীয়।
অন্যান্য পণ্যের মাঝে আছে ২৬ কেজি গ্রিজ, ১ হাজার ৯৯৫ কেজি ফসফরিক অ্যাসিড, ১৩০ কেজি বোতাম, ৭০ বস্তা পিভিসি শেড, ৯৫ কার্টন দরজা, ১৪ কার্টন স্যান্ডেল, ৯৬০ রোল ফেব্রিক্স, ৯৭৭ কার্টন প্রিন্টিং পেইন্ট, ৬৮ ব্যাগ স্টাভিলাইজার, ১১৫ কেজি গোল্ড স্টার ইলিভেটর, ৫৫৪ কার্টন ফুড স্টাফ, ৬৪১ কেজি ওজনের গ্রিমিং মেশিন, ১৬৩৫ মিটার দড়ি, ৬২ লাখ ৫৮ হাজার ৮৮৭ টাকার উল ফেব্রিক্স, ২১ লাখ ১৯ হাজার টাকার ফার্নিচার, ১০ পিস প্রিন্টার মেশিন ও ৩৯ হাজার পিস জেন্টস আন্ডারওয়্যার।
তা ছাড়া ১৫২ কেজি সালফিউরিক অ্যাসিড, ১ ব্যাগ টেক্সটাইল কেমিক্যাল, ৭ কার্টন ফিলামেন্ট কোড, ১ হাজার ৩৪১ কার্টন হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ১৫ হাজার ৫০০ কেজি ড্রাগন ফল, ৫২ কেজি ফিতা, ১৪ বক্স সিরামিক ওয়াল টাইলস, ১৭ কার্টন চশমা, ৮ কার্টন অ্যাপ্রন, ১২ কার্টন পলিব্যাগ, ৯৬ জোড়া জুতা, ৬০৪ কেজি তেঁতুলের বীজ, ১৮০ কেজি কাগজ, ৫২৯ কার্টন গার্মেন্টস কটন ও পলেস্তার পণ্য, ২৬৪ রোল মিডিয়াম পেপার, ৬ পিস ওয়াটার ফিল্টার, ১ পিস মোটর পণ্যও রয়েছে।
নিয়মানুযায়ী এসব পণ্য খালাস না করায় রেফার কনটেইনারে রাখা রসুন ও হিমায়িত খাদ্য সংরক্ষণ রাখতে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ খরচ হচ্ছে। তাই এগুলো নিলামে তুলে বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সেই সঙ্গে পরপর ছয়বার নিলামে তুলেও বিক্রি না হওয়া ২৩ লাখ ৭৮ হাজার ৭৬২ টাকার জাপানি মাইক্রোবাস ও ২১ লাখ ৩৩ হাজার ৮৫৬ টাকার নিশান মাইক্রোবাসও নিলামে তোলা হচ্ছে।
সরকারি নিলাম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স কেএম করপোরেশন নিলামটি পরিচালনা করছে। প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার মোহাম্মদ মোরশেদ জানান, গত ২৫ জানুয়ারি থেকে নিলামের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। নিলামে অংশ নিতে হলে ৩০ জানুয়ারির মধ্যে অফিস চলাকালীন ২০০ টাকা দরে ক্যাটালগ ও ১০০ টাকা দরে দরপত্র সংগ্রহ করা যাবে।
৩০ ও ৩১ জানুয়ারি সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টার মধ্যে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা (প্রশাসন) ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে টেন্ডার বক্সে দরপত্র জমা দিতে হবে।
কাস্টমসের তথ্যমতে, বিদেশ থেকে আনা খালাসবিহীন বিভিন্ন পণ্য ও শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনতে গিয়ে কায়িক পরীক্ষায় আটক করা পণ্য ৩০ দিনের মধ্যে খালাসের নির্দেশ দিয়ে নোটিশ দেয়া হয়। নোটিশ দেয়ার ১৫ দিনের মধ্যে পণ্য খালাস না করলে এসব পণ্য নিলামে তোলে কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ।