বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে প্রাণ গেল ভ্যানচালকের

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৯ জানুয়ারি, ২০২২ ১৭:২৭

হাফিজার রহমানকে গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর রাত ১০টার দিকে ডাকুমারা বাজার এলাকায় অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১৮ ডিসেম্বর ভোর ৬টার দিকে মারা যান তিনি।

বগুড়ার শিবগঞ্জে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে হাফিজার রহমান নামে এক ভ্যানচালক প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

শনিবার দুপুর ১২টার দিকে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বগুড়ার পুলিশ সুপার (এসপি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী এ কথা জানান।

হাফিজার রহমান বগুড়ার শিবগঞ্জের মেঘাখর্দ্দ গ্রামের বাসিন্দা।

এসপি জানান, পেশাদার একটি চক্র ভ্যান চুরির উদ্দেশ্যে হাফিজারকে চেতনানাশক খাওয়ায়। ৭০ বছর বয়সী ওই ভ্যানচালক এতে অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

এ ঘটনায় ওই চক্রের সাইদুল ইসলাম মগা নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আদালতে তার দেয়া জবানবন্দিতে এসব তথ্য বেরিয়ে আসে। তার তথ্যে চক্রের আরও তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার তিনজন হলেন মজনু মণ্ডল, তার স্ত্রী মাহমুদা বেগম ও মো. মজনু। তারা সবাই গাইবান্ধার পলাশবাড়ীর বাসিন্দা।

হাফিজার রহমানকে গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর রাত ১০টার দিকে ডাকুমারা বাজার এলাকায় অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১৮ ডিসেম্বর ভোর ৬টার দিকে মারা যান তিনি।

এ ঘটনায় হাফিজার ছেলে আমিনুল ইসলাম শিবগঞ্জ থানায় মামলা করেন। সেই মামলায় পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

এসপি সুদীপ কুমার জানান, চক্রের সদস্য মাহমুদা মোকামতলা স্ট্যান্ড থেকে বালিয়াদীঘি যাওয়ার জন্য বিকেল ৫টার দিকে হাফিজারের ভ্যান ভাড়া করেন। পথে ডাকুমারা স্ট্যান্ডে চা খাওয়ার কথা বলে ভ্যান দাঁড় করাতে বলেন ওই নারী। ওই সময় কৌশলে চায়ে চেতনানাশক দিয়ে হাফিজারকে পান করায় চক্রটি।

ডাকুমারা থেকে রওনা দিয়ে পথে অসুস্থ হয়ে পড়েন ভ্যানচালক হাফিজার। অচেতন হয়ে পড়লে সন্ধ্যা ৬টার দিকে হাফিজারকে রাস্তায় ফেলে ভ্যান নিয়ে চলে যান মাহমুদা ও চক্রের অন্য সদস্যরা।

এসপি সুদীপ কুমার বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শিবগঞ্জের রহবল এলাকার নিজ বাড়ি থেকে ২৭ জানুয়ারি সাইদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন তার জবানবন্দির ভিত্তিতে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা পেশাদার অপরাধী। তারা মানুষকে অজ্ঞান করে জিনিসপত্র লোপাট করতেন। চক্রের পলাতক অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর