খুলনার ফুলতলায় তরুণীকে গলা কেটে হত্যায় দুজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে র্যাব। উদ্ধার করা হয়েছে মেয়েটির বিচ্ছিন্ন মাথা।
বাহিনীটি বলছে, হত্যার আগে মুসলিামকে ধর্ষণও করা হয়েছিল।
ফুলতলা ও ফরিদপুর থেকে শুক্রবার অভিযুক্তদের আটক করা হয়। শনিবার তাদের নিয়ে উত্তর দিঘীর পাড় এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় উদ্ধার করা হয় মুসলিমার পরনের জামাকাপড়, জুতা ও হত্যায় ব্যবহৃত বঁটি।
র্যাব-৬-এর অধিনায়ক লেফেটেন্যান্ট কর্নেল মুহাম্মদ মোসতাক আহমদ অভিযান সম্পর্কে বিস্তারিত জানান।
তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তার দুই যুবক প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তারা হলেন ফুলতলা উপজেলার যুগ্নীপাশা পূর্ব পাড়ার রিয়াজ খন্দকার ও একই এলাকার মো. সোহেল।’
র্যাব অধিনায়ক জানান, গত ২৬ জানুয়ারি সকালে ফুলতলার উত্তরডিহি এলাকার ধানক্ষেত থেকে তরুণীর মাথাবিহীন বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ফিঙ্গার প্রিন্ট যাচাই করে তার পরিচয় নিশ্চিত করে পিবিআই। এ ঘটনায় ছায়া তদন্ত শুরু করে র্যাব।
গোপন তথ্য ও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের কথা জানিয়ে র্যাব অধিনায়ক বলেন, ‘২৫ জানুয়ারি ঘটনার রাতে ধর্ষণের পর হত্যার পরিকল্পনাকালে মুসলিমা তাদের কাছে মিনতি করেও রক্ষা পাননি।’
মুসলিমা খুনিদের বারবার বলেছিলেন, ‘আমার বাবা খুব অসুস্থ, হাসপাতালে ভর্তি। ধর্ষণের ঘটনা কাউকে বলব না। আমাকে ছেড়ে দাও।’ কিন্তু তাতেও মন গলেনি খুনিদের।
র্যাব অধিনায়ক বলেন, ‘তারা মুসলিমাকে পৈশাচিক নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করে। তার দেহ থেকে মাথা আলাদা করে ফেলেছিল খুনিরা।’
র্যাবের অভিযানের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন মুসলিমার বোন আকলিমা খাতুনসহ স্বজনরা। তাদের আহাজারিতে পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। শত শত মানুষ ঘটনাস্থলে ভিড় জমায়। জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।
বোনের মরদেহ উদ্ধারের পর আকলিমা বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করেছিলেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২৫ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে মোবাইলে কল পেয়ে মুসলিমা বাসা থেকে বের হয়ে যান। কিন্তু আর ফিরে আসেননি। পরদিন সকালে মাথাবিহীন মৃতদেহ উদ্ধার হয়।