চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি হামলার অভিযোগ উঠেছে। এতে দুই পক্ষের অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন।
সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের তিতুদহ গ্রামের সেন্টারপাড়ায় শুক্রবার রাত ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান টিপু বলেন, ‘ভোটের প্রচারের শুরু থেকে নৌকার লোকজন আমার কর্মীদের হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। শুক্রবার রাতে তারা গিরিশনগর ও তিতুদহ দক্ষিণপাড়ায় আমার নির্বাচনি অফিসে ভাঙচুর চালায়।
‘আমার কর্মী তছলিম উদ্দিনকে কুপিয়ে জখম করেছে। আরেক কর্মী রিপনের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে, রিপনকেও তারা জখম করেছে। হামলায় মিঠু ও আব্দুল লতিফও আহত হন। এখন তারা দায় এড়াতে নিজেদের অফিস ভাঙচুর করে উল্টা দোষারোপ করছেন।’
৭ ফেব্রুয়ারি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সপ্তম ধাপে তিতুদহ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ থেকে চেয়ারম্যান পদে দাঁড়িয়েছেন শুকুর আলী।
তিনি বলেন, ‘আমরা ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট চাচ্ছিলাম। আমাদের বহরের পেছনে এসে টিপুর লোকজন হুমকি দেয়। প্রচার শেষে ফেরার পথে তারা আমাদের মাইক্রোবাসে হামলা চালায়। এরপর তিতুদহ বাজার ও গিরিশনগরের তিনটি নির্বাচনি অফিসে ভাঙচুর করে ও আগুন দেয়।
‘টিপুর কর্মীদের হামলায় মো. হাসান, মানিক, ওমর ফারুক, মো. শাহিন ও মো. রায়হান গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের অফিসে হামলার তথ্য মিথ্যা। তারা নিজেরাই এই কাজ করেছে।’
দুই পক্ষের আহত ৯ জনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আহসানুল হক জানান, তছলিম নামের একজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফুল কবীর বলেন, ‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের হামলার ঘটনা ঘটেছে। তছলিম নামের একজনকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়, তবে এখনও কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’