মৌসুমি বায়ু প্রবাহে কাঁপছে উত্তরাঞ্চলের জনপদ। কুয়াশার চাদরে ঢেকে ঠান্ডায় জবুথবু অবস্থা এখন পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রংপুর অঞ্চলের মানুষজনের। শুধু এসব জেলা নয়, পুরো উত্তরাঞ্চলসহ সারা দেশেই শীতের প্রকোপ শুরু হয়েছে।
শুক্রবার রাত থেকে সেই শীত আরও জেঁকে বসেছে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে।ওই রাতেই লালমনিরহাটে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবোল চন্দ্র সরকার লালমনিরহাটে ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার কথা নিশ্চিত করেছেন।
অবশ্য শনিবার সকালে সে তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। সকালে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস জানায়, জেলার তেঁতুলিয়ায় দেশের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শনিবার একই তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে কুড়িগ্রামের রাজারহাটেও।
এর আগে চলতি বছর শীত মৌসুমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেটিও ছিল তেঁতুলিয়া ও রাজারহাটে।
আগুন জ্বালিয়ে শীত নিরাবণের চেষ্টা করছেন উত্তরের মানুষজন। ছবি: নিউজবাংলাআবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সারা দেশে শীতের দাপট বাড়তে পারে আগামী দু-এক দিনে। আরও কমবে তাপমাত্রা। তবে উত্তর ছাড়া দেশের অন্য অংশে কুয়াশার প্রভাব কিছুটা কম হওয়ায় মাঝে মঝেই দেখা মিলবে রৌদ্রোজ্জ্বল আকাশের। উত্তরাঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। দুই দিন পর আবারও বাড়তে শুরু করবে তাপমাত্রা।
শীতের তীব্রতা বাড়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে উত্তরাঞ্চলের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সন্ধ্যার পর জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। শীতে নাকাল হয়ে পড়েছে বিভিন্ন বয়সের মানুষ। তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছেন দৈনন্দিন খেটে খাওয়া কর্মজীবীরা।
হিমালয় থেকে ধেয়ে আসা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের ফলে আবহাওয়ার পরিবর্তন হচ্ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। কয়েক দিন ধরে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার কারণে বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। আকাশ পরিষ্কার থাকায় বাতাসের গতিবেগও বেড়েছে।
এই অবস্থা আরও দু-এক দিন চলতে পারে।