বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার দাবি ইউনিসেফের

  •    
  • ২৮ জানুয়ারি, ২০২২ ২১:১৫

ইউনিসেফের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘কোভিড-১৯-এর ওমিক্রন ধরনটি সারা বিশ্বে যখন ছড়িয়ে পড়ছে, এটি যাতে শিশুদের পড়াশোনাকে ব্যাহত করতে না পারে সেজন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে আমরা সরকারগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছি।’

স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। করোনাভাইরাসের ধরন ওমিক্রনের কারণে শিশুদের পড়াশোনা যাতে ব্যাহত না হয় সে বিষয়েও ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

শুক্রবার ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘কোভিড-১৯-এর ওমিক্রন ধরনটি সারা বিশ্বে যখন ছড়িয়ে পড়ছে, এটি যাতে শিশুদের পড়াশোনাকে ব্যাহত করতে না পারে সেজন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে আমরা সরকারগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছি।’

আরও বলা হয়, ‘স্কুল খোলা রাখুন। স্কুলগুলো পুরোপুরি বা আংশিক বন্ধ থাকার কারণে বর্তমানে প্রায় ৬১ কোটি ৬০ লাখ শিশু ক্ষতিগ্রস্ত। কোভিড-১৯ ঝুঁকি প্রশমনের ব্যবস্থাগুলোই স্কুলগুলোকে খোলা রাখতে সাহায্য করে।’

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে দেড় বছর পর ২০২১ সালের ১২ সেপ্টেম্বর খুলে দেয়া হয় প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও চালু করা হয়।

এসব প্রতিষ্ঠানে ক্লাস হয়েছে সীমিত পরিসরে। প্রতিদিন সব শ্রেণিতে ক্লাসও নেয়া হয়নি।

এখন আবারও সংক্রমণ ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার ১১ দফা নির্দেশনা জারি করে। গত ২১ জানুয়ারি দুই সপ্তাহের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে পাঁচ নির্দেশনা জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

বিবৃতিতে শিক্ষক ও স্কুল কর্মীদের টিকা দেয়ারও আহ্বান জানানো হয়। বলা হয়, ‘শিক্ষক এবং স্কুল কর্মীদের অবিলম্বে টিকা দিন। প্রথম সারির স্বাস্থ্যকর্মী এবং উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীকে কোভিড-১৯ এর টিকাদানের পরপরই এই টিকা প্রদানের ক্ষেত্রে শিক্ষক এবং স্কুল কর্মীদের সম্পূর্ণরূপে সমর্থন ও অগ্রাধিকার দেয়া উচিত। সশরীরে স্কুলে যাওয়ার জন্য টিকাদানকে পূর্বশর্ত করবেন না।’

করোনাভাইরাস মহামারিতে শিক্ষা ব্যবস্থায় নজিরবিহীন চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেন ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর।

এর আগে গত ২৪ জানুয়ারি এক প্রতিবেদনে ইউনিসেফ জানায় করোনাভাইরাস মহামারির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় দেশের ৩ কোটি ৭০ লাখ শিক্ষার্থীর পড়াশোনা ব্যাহত হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর