যুবলীগের নেতাকর্মীরা গণমানুষের পাশে থাকবেন, এমন প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ।
শুক্রবার বনানী মডেল স্কুল মাঠে অসহায়-দুস্থদের মাঝে সংগঠনের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
এ সময় রংপুর বিভাগের ৯টি জেলা শাখার নেতাদের কাছে সেই অঞ্চলের শীতার্ত মানুষের জন্য কম্বল হস্তান্তর করা হয়। বনানী মডেল স্কুল মাঠে প্রায় এক হাজার অসহায় শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করে যুবলীগ।
যুবলীগ চেয়ারম্যান সংগঠনের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘বর্তমান যুবলীগের অন্যতম লক্ষ্য রাষ্ট্রের মানবিক ধারাকে গতিশীল করতে নেতৃত্ব দেয়া এবং ষড়যন্ত্রকারী ও প্রতিবিপ্লবীদের প্রতিহত করে মানুষের সুখে-দুঃখে সহমর্মী হওয়া। এ লক্ষ্যে যুবলীগ ইতোমধ্যে অনেক মানবিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে মানবিক যুবলীগে পরিণত হয়েছে। এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।’
নেতাকর্মীদের তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যার লক্ষ্য একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না, ভূমিহীন থাকবে না, বিশেষ করে রংপুর বিভাগে সবচেয়ে বেশি ভূমিহীন মানুষ ছিল এবং দুর্ভিক্ষকবলিত লোক ছিল। ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধুকন্যা জাতির পিতার গুচ্ছগ্রাম, আদর্শগ্রাম এবং আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজ করে চলেছেন সরকারের তরফ থেকে।
‘আমরা যুবলীগ স্বল্প পরিসরে এই কর্মসূচিতে শরিক হওয়ার চেষ্টা করেছি। আমি আহ্বান জানাতে চাই আপনাদের, আপনারা খুঁজে দেখুন ভূমিহীন লোক আছে কি না, আপনাদের নিজ নিজ এলাকায়। থাকলে তাদের তালিকা করে আমাদের দিন। আমরা তাদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে দেব। বঙ্গবন্ধুকন্যার এটা অঙ্গীকার যে, এ দেশে কোনো ভূমিহীন লোক থাকবে না। পাশাপাশি দারিদ্র্য বিমোচন হবে। এই ১৩ বছরে রংপুরে যে উন্নয়ন হয়েছে তা দৃষ্টান্তমূলক।’
যুবলীগের নেতাকর্মীরা মানুষের পাশে থাকবে, এটাই তাদের একমাত্র প্রত্যাশা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রতিটি মানুষের যেন জীবনের উন্নতি হয়, প্রতিটি ছেলে-মেয়ে লেখাপড়া শিখে মানুষ হয়, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেনও সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে, উন্নত জীবন পায়, সেটা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।
‘যেই উন্নত জীবন মানবিকতা বিবর্জিত নয়, বরং একটা ন্যায়পরায়ণ সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমাদের নতুন প্রজন্ম গণমানুষের ন্যায্য অধিকার সংরক্ষণে বিপ্লবী ভূমিকা রাখবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা। এভাবেই বাংলার আপামর জনগণকে সঙ্গে নিয়ে একটা নববিপ্লবের সূচনা করবে আমাদের প্রগতিশীল যুবসমাজ।’