বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শিক্ষামন্ত্রীকে ক্যাম্পাসে চান শাবির আন্দোলনকারীরা

  •    
  • ২৮ জানুয়ারি, ২০২২ ১৯:১৫

সংবাদ সম্মেলনে শুক্রবার বিকেলে শিক্ষামন্ত্রীকে ক্যাম্পাসে আমন্ত্রণ জানানোর পাশাপাশি উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগসহ তাদের সব দাবি দ্রুত মেনে নেয়ার আহ্বান জানানো হয়।

নিজেদের দাবি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সঙ্গে ফের আলোচনায় বসতে চান শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এ জন্য শিক্ষামন্ত্রীকে শাবি ক্যাম্পাসে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে শুক্রবার বিকেলে শিক্ষামন্ত্রীকে ক্যাম্পাসে আমন্ত্রণ জানানোর পাশাপাশি উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগসহ তাদের সব দাবি দ্রুত মেনে নেয়ার আহ্বান জানানো হয়। এ সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন মোহাইমিনুল বাশার রাজ।

রাজ বলেন, ‘পুলিশি হামলায় আহত এবং অনশনরত অবস্থায় অসুস্থ শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার সব খরচ প্রধানমন্ত্রী বহন করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। ইতোমধ্যে অসুস্থ একজনকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘সরকারের নির্দেশনায় শিক্ষামন্ত্রী আমাদের সব দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন। শিক্ষামন্ত্রী বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে আমাদের দাবি ও বিভিন্ন সমস্যা প্রসঙ্গে আলোচনার জন্য শাবিতে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

‘আমরাও আমাদের দাবি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে তার সঙ্গে আলোচনার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি। তার সামনে উপস্থাপনের জন্য ইতোমধ্যে বেশ কিছু সমস্যা নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।’

শিক্ষামন্ত্রী দ্রুতই ক্যাম্পাসে আসবেন এমন আশা করে রাজ বলেন, ‘তিনি দ্রুতই ক্যাম্পাসে এসে আমাদের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেবেন। একই সঙ্গে আমরা এও আশা করছি যে, আমাদের মূল দাবিসহ অন্যান্য বিষয়ে যেসব আশ্বাস দেয়া হয়েছে, সেগুলোও দ্রুত পূরণ করা হবে।’

উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের আগ পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন রাজ। বলেন, ‘আজ রাতেও আমরা ক্যাম্পাসে মুক্ত আলোচনা করব। মুক্ত আলোচনার প্রস্তাবনাগুলো শিক্ষামন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করা হবে।’

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট কমিটির পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে গত ১৩ জানুয়ারি থেকে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা।

এরপর ১৬ জানুয়ারি বিকেলে তিন দফা দাবি আদায়ে উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনে অবরুদ্ধ করেন বিক্ষোভকারীরা।

পরে পুলিশ উপাচার্যকে উদ্ধার করতে গেলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই দিন থেকেই উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে নামেন তারা।

এই দাবিতে ১৯ জানুয়ারি থেকে আমরণ অনশন শুরু করেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। তাদের টানা ১৬৩ ঘণ্টার অনশন গত বুধবার ভাঙান এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও অধ্যাপক ইয়াসমিন হক।

এর আগে দুই দফা শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে ভার্চুয়ালি আলোচনা করেন বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা।

এ বিভাগের আরো খবর