দেশে নতুন করে ১৫ হাজার ৪৪০ জনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৩৭। দেশে করোনা শনাক্ত হারে এই হার এ-যাবৎকালের সর্বোচ্চ।
শুক্রবার সকাল পর্যন্ত পূববর্তী ২৪ ঘণ্টার এই হিসাব দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
একই সময়ে করোনা সংক্রমণে মারা গেছেন ২০ জন। তাদের মধ্যে আটজন পুরুষ। বাকি ১২ জন নারী।
দেশে এ নিয়ে টানা চার দিন ১৫ হাজারের বেশি মানুষের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হলো। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় করোনা শানক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
দেশে এর আগে সর্বোচ্চ সংক্রমণের দিন ছিল ২০২০ সালের ১২ জুলাই। এদিন শনাক্তের হার ছিল ৩৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। এর আগের দিন বৃহস্পতিবার রোগী শনাক্ত হয় ১৫ হাজার ৮০৭ জন। এর আড়ে বুধবার ১৫ হাজার ৫২৭ ও মঙ্গলবার ১৬ হাজার ৩৩ জনের দেহে করোনা ধরা পড়ে। এছাড়া টাকা ৬ দিন শনাক্তের হার ৩০ শতাংশের ওপরে থেকেছে।
গত রোববার পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্ত হার ছিল ৩১ দশমিক ২৯ শতাংশ। পরদিন সোমবার ৩২ দশমিক ৩৭, মঙ্গলবার ৩২ দশমিক ৪০, বুধবার ৩১ দশমিক ৬৪ ও বৃহস্পতিবার ৩১ দশমিক ৯৮ শতাংশ শনাক্ত হয়। সবশেষ শুক্রবার পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে রেকর্ড ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, একদিনে ৮৬৫টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৬ হাজার ২৬৮টি। এর আগে দেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয় গত বছরের ২৬ জুলাই, ৫০ হাজার ৯৫২টি।
দেশে এ পর্যন্ত মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৭ লাখ ৬২ হাজার ৭৭১ জনের দেহে। এই ভাইরাস সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ২৮ হাজার ৩০৮ জনের।
সর্বশেষ মারা যাওয়া ২০ জনের মধ্যে ২০ বছরের কম বয়সী ৪, চল্লিশোর্ধ্ব ৩, ষাটোর্ধ্ব ১, সত্তরোর্ধ্ব ৭ ও অশীতিপর ৬ জন রয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয় চট্টগ্রাম বিভাগে, ৯ জন। এর পরের অবস্থানেই ঢাকা। এ বিভাগে মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। রাজশাহী ও সিলেট বিভাগে দুই করে মারা গেছে। এ ছাড়া বরিশাল ও ময়মনসিংহে মারা গেছে একজন করে।
গত এক দিনে শনাক্তের প্রায় ৬০ শতাংশই ঢাকা বিভাগে। এ বিভাগে ২৪ ঘণ্টায় ২৭ হাজার ১৮১টি নমুনা পরীক্ষায় ৮ হাজার ১১৩ জন পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে।
গত বছরের ৪ অক্টোবর করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে। জানুয়ারি থেকে আবার শনাক্তের হার বাড়তে থাকে। গত ৭ জানুয়ারি থেকে করোনার সংক্রমণ, শনাক্তের হার ৫ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। ২৩ দিন ধরে করোনা সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের ওপরে রয়েছে।
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রথম ধরা পড়ে ২০২০ সালের ৮ মার্চ। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত তিনটি ঢেউ এসেছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের একপর্যায়ে দেশে শাটডাউন নামে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হয়। ওই সময় বাড়ির বাইরে গেলে জরিমানাও করা হচ্ছিল। এবার বিধিনিষেধ দিলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে তা প্রতিপালনে তেমন কঠোরতা নেই।