বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হত্যার ২০ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

  •    
  • ২৮ জানুয়ারি, ২০২২ ১৭:৫৬

র‍্যাব কর্মকর্তা নুরুল আবসার বলেন, গ্রেপ্তারের পর সৈয়দ আহমেদকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি তার পলাতক জীবন সম্পর্কে বিবরণ দিয়েছেন।

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় ব্যবসায়ী জানে আলম হত্যার প্রায় ২০ বছর পর ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সৈয়দ আহমেদকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রাম নগরীর আকবর শাহ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

শুক্রবার সকালে চট্টগ্রামের চান্দগাঁও কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছে র‍্যাব।

র‌্যাব আরও জানায়, ২০০১ সালে চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় মাহমুদুল হক নামে এক ব্যক্তিকে হত্যা করেন সৈয়দ আহমেদ ও তার তিন ভাই। এ ঘটনায় মামলা পরিচালনার কারণে ২০০২ সালের ৩০ মার্চ সকালে জানে আলমকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির বড় ছেলে তজবিরুল আলম বাদী হয়ে চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া থানায় ২১ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।

২০০৭ সালের ২৪ জুলাই বিচারিক আদালত মামলার রায় ঘোষণা করে। রায়ে সৈয়দ আহমেদসহ ১২ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। আটজনকে দেয়া হয় যাবজ্জীবন। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে দণ্ডপ্রাপ্তরা আপিল করলে সৈয়দ আহমেদসহ ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ড, দুজনকে যাবজ্জীবন ও বাকিদের খালাস দেয়া হয়।

র‍্যাব কর্মকর্তা নুরুল আবসার বলেন, গ্রেপ্তারের পর সৈয়দ আহমেদকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি তার পলাতক জীবন সম্পর্কে বিবরণ দিয়েছেন।

র‍্যাবের কাছে সৈয়দ আহমেদ জানান, খুনের পর প্রথমে চট্টগ্রামের বাঁশখালীর সাগর উপকূলে জলদস্যুদের মাঝি হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। প্রথম চার থেকে পাঁচ বছর পরিবার ও আত্মীয়স্বজন ছেড়ে বাঁশখালী, আনোয়ারা, কুতুবদিয়া ও পেকুয়ায়ার সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় বাস করেন। পরে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড এলাকায় উদ্বাস্তু হিসেবে অবস্থান করেন।

একপর্যায়ে তিনি চট্টগ্রাম নগরীর সলিমপুরে মশিউর বাহিনীর প্রধান মশিউরের ছত্রচ্ছায়া ও সহযোগিতায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। এ সময় তিনি ভিন্ন নামে একটি জাতীয় পরিচয়পত্রও তৈরি করেন।

কিন্তু ২০১৬-১৭ সালে সলিমপুরে পুলিশের অভিযান বাড়লে সেখান থেকে সটকে পড়েন সৈয়দ আহমেদ। কিছুদিন চট্টগ্রামের বিভিন্ন মাজারে বাবুর্চি হিসেবে কাজ করার পর চট্টগ্রামের আকবর শাহ এলাকায় দারোয়ানের চাকরি নেন।

র‌্যাব জানিয়েছে, অনেক খোঁজাখুঁজির পর সৈয়দ আহমেদের সন্ধান পাওয়া গেছে। তাকে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

জানে আলম হত্যা মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে দুজন কারাগারে আছেন, তিনজন মারা গেছেন এবং বাকিরা এখনও পলাতক।

এ বিভাগের আরো খবর