বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অস্তিত্বহীন ৪ কোম্পানির সন্ধানে বিনিয়োগকারীর তথ্য তলব

  •    
  • ২৮ জানুয়ারি, ২০২২ ১৫:৩৬

অস্তিত্বহীন বাংলাদেশ ডাইং অ্যান্ড ফিনিশিং ইন্ডাস্ট্রিজ, মার্ক বাংলাদেশ শিল্প অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, প্যারাগন লেদার অ্যান্ড ফুটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিজ ও তৃপ্তি ইন্ডাস্ট্রিজের বিষয়ে অনুসন্ধানে নেমেছে বিএসইসি।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির পর অস্তিত্বহীন চার কোম্পানির সন্ধান পেতে নতুন কৌশল নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কোম্পানিগুলোতে যেসব বিনিয়োগকারীর এখনও বিনিয়োগ আছে তাদের খুঁজে বের করা হচ্ছে।চারটি কোম্পানির চার বিনিয়োগকারীর সন্ধান পেয়েছে বিএসইসি। তারা এখনও অস্তিত্বহীন এসব কোম্পানির শেয়ার ধরে রেখেছেন। এসব বিনিয়োগকারীর তথ্য দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে (সিএসই)।সম্প্রতি অস্তিত্বহীন বাংলাদেশ ডাইং অ্যান্ড ফিনিশিং ইন্ডাস্ট্রিজ, মার্ক বাংলাদেশ শিল্প অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, প্যারাগন লেদার অ্যান্ড ফুটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিজ ও তৃপ্তি ইন্ডাস্ট্রিজের বিষয়ে অনুসন্ধানে নামে বিএসইসি।এর মধ্যে তৃপ্তি ইন্ডাস্ট্রিজ ২০০৮ সালে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের সঙ্গে একীভূত হয়েছিল। তবে তৃপ্তি ইন্ডাস্ট্রিজের যেসব বিনিয়োগকারী ছিলেন তারা বিনিয়োগ ফিরে পেয়েছেন কি না তা যাচাইয়ের উদ্যোগও নেয়া হবে।বিএসইসির দেয়া চিঠি সূত্রে জানা যায়, বিনিয়োগকারী কে এম আমিনুর রহমান মার্ক বাংলাদেশ শিল্প অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ১০০ শেয়ার, বাংলাদেশ ডাইং অ্যান্ড ফিনিশিং ইন্ডাস্ট্রিজের ২০ ও প্যারাগন লেদার অ্যান্ড ফুটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিজের ৫০টি শেয়ার ধরে রেখেছেন।

‘এস এ জব্বারের কাছে পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের ১০০টি শেয়ার ও তৃপ্তি ইন্ডাস্ট্রিজের ৪টি শেয়ার রয়েছে। ফারজানা আক্তারের কাছে বাংলাদেশ ডাইং অ্যান্ড ফিনিশিং ইন্ডাস্ট্রিজের ১০০টি শেয়ার রয়েছে। এছাড়া শামীমা জিয়াউদ্দিনের কাছে মার্ক বাংলাদেশ শিল্প অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ৫টি শেয়ার রয়েছে।’তারা সবাই এসব কোম্পানির শেয়ার ১৯৯৭ সালে কিনে এখনও ধরে রেখেছেন।এমন চিঠির উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, এসব কোম্পানির অস্তিত্ব নেই। কারখানা কোথায় আছে, এদের মালিকানায় কারা ছিলেন তার স্পষ্ট কোনো তথ্য নেই। যেহেতু কোম্পানিগুলোর শেয়ারধারীদের তথ্য পাওয়া গেছে, সেহেতু তাদের কাছ থেকে কোম্পানি সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যাবে।যারা এখনও এসব কোম্পানির শেয়ার ধরে রেখেছেন তাদের এই দীর্ঘ সময়ের লভ্যাংশসহ রিটার্নপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।বিএসইসি তাদের চিঠিতে ডিএসই ও সিএসইকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে এ সংক্রান্ত তথ্য দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে।উল্লিখিত চারটি কোম্পানির মধ্যে তৃপ্তি ইন্ডাস্ট্রিজ ছাড়া বাংলাদেশ ডাইং অ্যান্ড ফিনিশিং ইন্ডাস্ট্রিজ অল্টানেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) স্থানান্তরের অপেক্ষায় আছে। আর পুঁজিবাজার থেকে তালিকাচ্যুতির অপেক্ষায় আছে মার্ক বাংলাদেশ শিল্প অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ও প্যারাগন লেদার অ্যান্ড ফুটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিজ।

ওই চার কোম্পানির মৌলভিত্তি দুর্বল। দীর্ঘদিন ধরে লভ্যাংশ না দেয়া এবং উৎপাদনে না থাকায় কোম্পানিগুলোকে ওভার দ্যা কাউন্টার মার্কেটে (ওটিসি) তালিকাভুক্ত করা হয়। গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর বিএসইসি ওটিসি মার্কেট বাতিল ঘোষণা করায় এসব কোম্পানির জন্য আলাদা ট্রেডিং বোর্ড গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।বিএসইসি জানান, উৎপাদনের সম্ভাবনাময় কোম্পানিগুলোকে এটিবি বোর্ডে নেয়া হবে। আর অস্তিত্ব নেই বা উৎপাদনে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই তেমন কোম্পানিগুলোকে আইন অনুযায়ী পুঁজিবাজার থেকে তালিকাচ্যুত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর