বরগুনার আমতলীতে পায়রা নদীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বাঁধে করা হয়েছে সুড়ঙ্গ। সেই সুড়ঙ্গপথে চলছে ইটসহ ভাটার মালামাল পরিবহন। এমন অভিযোগ এক ইটভাটার মালিকের বিরুদ্ধে।
সুড়ঙ্গ করায় বাঁধ যেমন ঝুঁকিতে পড়েছে, তেমনি জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কায় আছেন ওই এলাকার অন্তত ১০ হাজার মানুষ।
পাউবো বলছে, বাঁধ সংস্কারে আইনি নোটিশ দেয়া হয়েছে।
২০১০ সালে আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের আঙ্গুলকাটা গ্রামে পাউবোর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের কাছে মুন্সি ব্রিকস নামের একটি ইটভাটা স্থাপন করেন বদিউল আলম বাদল মুন্সি। ২০২২ সালে তিনি কুকুয়া ইউনিয়নের আজিমপুর গ্রামের আবুল হোসেন মৃধার কাছে ভাটাটি ভাড়া দেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আবুল ইটভাটার মালামাল আনা-নেয়ার জন্য ১৫ দিন আগে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ কেটে সুড়ঙ্গ করেছেন। স্থানীয়রা নিষেধ করলেও তিনি শোনেননি।
গুলিশাখালী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুল ওহাব হাওলাদার জানান, বাঁধে সুড়ঙ্গ করায় বন্যা এলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এই ইউনিয়নের আঙ্গুলকাটা, খেকুয়ানী, ডালাচারা, বাজারখালী ও গুলিশাখালী গ্রাম। সুড়ঙ্গ দিয়ে পানি ঢুকে প্লাবিত হবে ফসলের ক্ষেত, জলাবদ্ধতায় থাকতে হবে প্রায় ১০ হাজার মানুষকে।
আবুলের বিরুদ্ধে স্থানীয়রা অভিযোগ করলেও তার দাবি, বাঁধ কেটে সুড়ঙ্গ করেছেন ইটভাটার মালিক বদিউল আলম বাদল মুন্সি। তিনি শুধু ভাড়ায় ভাটা চালাচ্ছেন।
তবে বাদল মুন্সি বলেন, ‘আমি বাঁধ কেটেছিলাম কিন্তু সেটা সংস্কার করে দিয়েছি। ভাড়ায় নিয়ে আবুল আবার সেখানে সুড়ঙ্গ করেছে। ওটা আমার করা নয়।’
বরগুনা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার আলম বলেন, ‘আমরা বিষয়টি জেনেছি। ভাটার মালিক বাদল মুন্সি ও ভাড়ায় নেয়া আবুল হোসেন দুজনকেই নোটিশ দেয়া হয়েছে। এর পরও যদি তারা বাঁধ সংস্কার না করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এ বিষয়ে এখনও কিছু জানেন না উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ কে এম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। তদন্ত করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’