রাখাইনে প্রত্যাবাসনের তালিকায় থাকা রোহিঙ্গাদের পরিচয় যাচাইসংক্রান্ত টাস্কফোর্সের বৈঠক হয়েছে বৃহস্পতিবার।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের কর্মকর্তাদের মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে ভার্চুয়ালি এ বৈঠক হয়।
গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সামরিক শাসন শুরুর পর এই প্রথম দুই দেশের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে কোনো আলোচনা হলো।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রিজওয়ান হায়াত বাংলাদেশের পক্ষে এবং মিয়ানমারের বহিরাগমন এবং জনসংখ্যা মন্ত্রণালয়ের উপমহাপরিচালক দেশটির পক্ষে বৈঠকে নেতৃত্ব দেন।
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে রাখাইনের বাস্তুচ্যুত লোকজনের আদি নিবাস চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে সময়ক্ষেপণের কারণ খুঁজে বের করে তা দূর করার জন্য একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে দুই পক্ষ একমত হয়েছে।
বাংলাদেশের অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ থাকার পরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গাকে মানবিক কারণে স্বল্পতম সময়ের জন্য আশ্রয় দিয়েছেন, সেটি শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার আলোচনায় তুলে ধরেন।
তিনি মিয়ানমারের লোকজনের আদি নিবাস যাচাইয়ের বিষয়টিতে দেরি হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
দুই পক্ষের মধ্যে সই হওয়া তিনটি চুক্তির আওতায় এ বিষয়গুলো দ্রুত সুরাহার জন্য বাংলাদেশ সব ধরনের সহায়তা দিতে তৈরি বলে মিয়ানমারের প্রতিনিধিদলকে জানান তিনি।
রোহিঙ্গাদের আদি নিবাস যাচাইয়ের বিষয়টিতে জোর দিয়ে শাহ রিজওয়ান হায়াত উল্লেখ করেন, এটি হলে দ্রুত প্রত্যাবাসন শুরু হবে। প্রত্যাবাসনের জন্য তিনি রাখাইনে সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি এবং রোহিঙ্গাদের মধ্যে আস্থা সৃষ্টির ওপর জোর দেন।
রোহিঙ্গাদের পরিচয় যাচাইয়ের ক্ষেত্রে কারিগরি সমস্যা ও তথ্যঘাটতির প্রসঙ্গ টেনে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল বিষয়টি সুরাহার আশ্বাস দিয়েছে।
মিয়ানমারের রাখাইনে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট সেনাচৌকিতে বিদ্রোহীদের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে রোহিঙ্গা গ্রামগুলোতে হামলা চালায় বার্মিজ সেনাবাহিনী ও দোসররা। এতে নির্বিচারে হত্যা করা হয় বিভিন্ন বয়সী রোহিঙ্গাকে। এ নির্যাতন থেকে বাঁচতে পালিয়ে বাংলাদেশে আসে এ জনগোষ্ঠীর সাড়ে সাত লাখের বেশি মানুষ।