করোনার সংক্রমণ ফের বাড়তে থাকায় নতুন করে বিধিনিষেধ জারি করেছে সরকার। এর মধ্যে একটি হলো, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত কোনো সমাবেশ বা জনসমাগম করা যাবে না।
সেই বিধি ভেঙে ঢাকার সাভারের ইয়ারপুর ইউনিয়নে হয়ে গেল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন। তাতে যোগ দেয় হাজারও মানুষ।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।
তৈয়বপুর মাঠে প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে চলে এই সমাবেশে। বেশিরভাগেরই মুখে ছিল না মাস্ক। নেতাকর্মীদেরও মুখে মাস্ক না পরে গাদাগাদি করে আনুষ্ঠানিকতা চালিয়ে নিতে দেখা গেছে।
এই সমাবেশে নাখোশ স্থানীয়দের কয়েকজন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা নিউজবাংলাকে জানান, নতুন করে যখন করোনার সংক্রমণ বাড়ছে, তখন এত লোক নিয়ে সমাবেশ করাটা ঝুঁকিপূর্ণ। এই সমাবেশের কারণে এলাকায় করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশংকা তৈরি হলো।
অনুষ্ঠান শেষে আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ফারুক হাসান তুহিন বলেন, ‘এটি পুর্বঘোষিত ছিল, সে কারণেই এই বিধি নিষেধে আমরা অনুষ্ঠানটি বন্ধ রাখতে পারি নাই। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুইশ লোক নিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ করেছি।’
যদিও সমাবেশে দেখা গেছে হাজারের বেশি মানুষ।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সায়েমুল হুদা বলেন, ‘আজ (বৃহস্পতিবার) সাভারে কোভিড আক্রান্তের হার ৫০ শতাংশ, যা খুবই উদ্বেগজনক। কোনো ধরনের পাবলিক সমাবেশ করতে হলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ছোট পরিসরে করার নির্দেশনা রয়েছে।
‘যদি আমরা সচেতন না হই তাহলে এই আক্রান্তের সংখ্যা আরও প্রকট আকার ধারণ করবে। তাই এই ধরনের অনুষ্ঠান না করাই উচিত।’
সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাজহারুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রজ্ঞাপনে সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নতুন করে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় বিধিনিষেধ করা হয়েছে একশ জনের অধিক লোক নিয়ে কোনো সমাবেশ করায়। তবে এত লোক নিয়ে এই ধরনের সমাবেশ করার কথা নয়।’
সম্মেলনে আগামী ৩ বছরের জন্য মুজিবর রহমান শাহেদকে সভাপতি ও মো. মুসাকে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কমিটি ঘোষণা করেন ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান।
করোনার মধ্যে সমাবেশের বিষয়ে কথা বলতে প্রতিমন্ত্রীকে একাধিকবার কল করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।