দেশের উন্নয়ন বিএনপি চায় না, তাদের ভালো লাগে নিরীহ মানুষকে হত্যা করতে, রাজনৈতিক সমাবেশে গ্রেনেড ছুড়ে মারতে। এমন মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার বিকেলে দিনাজপুরের কাহারোলে পরমহংস পরিব্রাজকাচার্য্য সদগুরু শ্রীশ্রী স্বামী নিগমানন্দ সরস্বতীদেব প্রবর্তিত সার্বভৌম ভক্ত সম্মিলনী ৬৩তম বার্ষিক অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
বিএনপি নির্বাচন কমিশন আইন মানে না কারণ তারা দেশের উন্নয়ন চায় না বলেও মন্তব্য করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী।
খালেদ বলেন, ‘এখন যখন নির্বাচন কমিশন আইন পাশ হয়ে গেছে, তখন তারা বলছেন, আমরা মানি না। সবার সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। সংসদে তো ৩০০ জন এমপি আছেন। এরা তো বাংলার ১৬ কোটি মানুষের সমর্থন নিয়ে সংসদে আছেন।’
তিনি বলেন, ‘আজকে বিএনপি বলছে, আমরা মানি না। মূল কথা এটা নয়। মূল কথা হলো- কেন পদ্মাসেতু হচ্ছে, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর কেন হচ্ছে, কেন চট্টগ্রাম বন্দর হচ্ছে। কেন বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে? এসব উন্নয়ন বিএনপির ভালো লাগে না। বিএনপির ভালো লাগে মানুষকে হত্যা করতে, কীভাবে গ্রেনেড মারতে হবে। বিএনপির এই ঘৃণ্য রাজনীতির বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
দলে অনুপ্রবেশকারী ঢুকেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কিছু কিছু অনুপ্রবেশকারী আমাদের দলের মধ্যে ঢুকে গেছে। ১২ বছর ক্ষমতায়, অনেকে লোভ সামলাতে পারে নি। আমাদের মধ্যে ঢুকে গেছে। এরা কিন্তু ভেতরে থেকে অনেক ধরনের কথা বলবে, উসকানি দেয়ার চেষ্টা করবে। আমাদের সাবধান থাকতে হবে।’
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা মানবজাতি নিজেদের বিভিন্নভাবে বিভক্ত করে ফেলছি। এতে আমাদের কোন কল্যাণ বয়ে আসছে না। এ বিভক্তি, ধর্মীয় উগ্রতা আমাদের মধ্যে ভালো কিছু দিচ্ছে না। ধর্মের উম্মাদনা আমাদের জন্য ক্ষতি ছাড়া ভালো কিছু করছে না। যেটাই ধর্মীয় উম্মাদনা সেটাই ধ্বংসের কারণ।’
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখন দেশের ওপর বড় আঘাত এসেছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা ক্ষমতাকে ব্যবহার করেছে, জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়ারা, তারা ধর্মকে ব্যবহার করেছে। কিন্তু কোন ধর্মীয় কাজ করেনি। তারা সংখ্যাগুরু মুসলমানদের মিথ্যা কথা বলে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার চেষ্টা করেছে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মনোরঞ্জনশীল গোপাল।