বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মংলায় বৃষ্টির পানি সংরক্ষণে ৩৮ কোটি টাকার প্রকল্প

  •    
  • ২৭ জানুয়ারি, ২০২২ ২৩:১৮

ঢাকায় ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে বৃহস্পতিবার স্বাক্ষরিত স্মারক অনুযায়ী, ২ কোটি ৯০ লাখ ডেনিশ ক্রোন দেবে বাংলাদেশের ডেনিশ দূতাবাস। টাকার অঙ্কে এর পরিমাণ ৩৭ কোটি ৬৯ লাখ।

জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ বাগেরহাটের মংলা উপজেলায় বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ প্রকল্পে ডেনমার্কের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক।

ঢাকায় ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে বৃহস্পতিবার স্বাক্ষরিত এই স্মারক অনুযায়ী, ২ কোটি ৯০ লাখ ডেনিশ ক্রোন দেবে বাংলাদেশের ডেনিশ দূতাবাস। টাকার অঙ্কে এর পরিমাণ ৩৭ কোটি ৬৯ লাখ।

‘এনহ্যান্সিং সেফ ড্রিংকিং ওয়াটার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স থ্রু রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং’ শীর্ষক প্রকল্প চলতি জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। তিন বছর মেয়াদি প্রকল্পটি মংলার ছয়টি ইউনিয়নে বাস্তবায়ন করা হবে।

ব্র্যাকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, লবণাক্ততার ভয়াবহ বিস্তারের ফলে মংলা বাংলাদেশের অন্যতম জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। ৬০ শতাংশেরও বেশি মানুষ নিরাপদ পানীয় জলের সুবিধা পায় না। পাশাপাশি স্বাস্থ্য ও উপার্জনের অবস্থা নাজুক। ঘর-গৃহস্থালির কাজের অতিরিক্ত চাপ এবং সামাজিক নিরাপত্তাহীনতার কারণে নারী ও মেয়েরাও বৈষম্যের শিকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উপজেলার সবচেয়ে জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর কাছাকাছি নিরাপদ পানীয় জলের একটি উৎস তৈরি করে তাদের অবস্থার উন্নয়ন করা এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য।

ফলে লবণাক্ততা কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মংলার ৬৭ হাজার ৩০০ মানুষ নিরাপদ পানীয় জলের সুবিধা পাবে। বাড়ি থেকে দূরের উৎস থেকে পানীয় জল আনার প্রয়োজন হবে না। এছাড়া উপজেলায় ৫৪টি ক্লাইমেট অ্যাকশন গ্রুপ করা হবে। যারা এগুলোর সমন্বয়, পরিকল্পনা এবং রক্ষণাবেক্ষণের নেতৃত্ব দেবে।

সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠানে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এস্ট্রাপ পিটারসন বলেন, ‘২০২৩ সালের মধ্যে ডেনমার্ক বিশ্বব্যাপী অনুদান-ভিত্তিক জলবায়ু অর্থায়নে প্রতি বছর কমপক্ষে ৫ শ মিলিয়ন ডলার দেবে। বিশ্বের সবচেয়ে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। এই অংশীদারত্ব ২০২২ সাল থেকে বাংলাদেশের জন্য জলবায়ু অভিযোজন এবং প্রশমন কর্মসূচির জন্য বেশ কয়েকটি ডেনিশ অঙ্গীকারের শুভ সূচনার ইঙ্গিত দেয়।’

উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জন্য জলবায়ু-অভিযোজিত ব্যবস্থা গ্রহণের গুরুত্ব তুলে ধরে ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ বলেন, ‘পানীয় জল আনতে কারও দুই কিলোমিটার হেঁটে যাওয়া উচিত নয়। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে পানীয় জলের তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে।

‘নিরাপদ পানীয় জল পাওয়ার এই মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করতে ব্র্যাক অবিরাম কাজ করে চলেছে। এই প্রচেষ্টায় ডেনমার্কের দূতাবাসের সমর্থনের জন্য আমরা সাধুবাদ জানাচ্ছি। আমরা একত্রে নিরাপদ পানি সরবরাহের মগ্রিক এবং টেকসই মডেল তৈরির লক্ষ্যে কাজ করব।’

ডেনমার্ক সরকারের উন্নয়ন কৌশল ‘দ্য ওয়ার্ল্ড উই শেয়ার’-এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রকল্পটি মংলায় ক্ষুদ্র স্তরে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করবে।

এ বিভাগের আরো খবর