বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনি ক্যাম্প ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।
মেহেন্দীগঞ্জের উলানিয়ার কালীগঞ্জ বাজারে বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
মেহেন্দীগঞ্জ থানা পুলিশের পরিদর্শক (এসআই) গোলাম মোস্তফা সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সংঘর্ষ হয়েছে নৌকার প্রার্থী মিলন চৌধুরী ও বিদ্রোহী প্রার্থী তারেক সরদারের লোকজনের মধ্যে।
বাজারের এক দোকানি সেন্টু মাঝি বলেন, ‘তারেক সরদারের ২০০ লোক রামদা ও লঠিসোঁটা নিয়ে কালীগঞ্জ বাজারে এলে লোকজন ভয়ে দৌড়াদৌড়ি শুরু করে। তারা মিলন চৌধুরীর নির্বাচনি অফিস ভাঙচুর করেছে। আমার দোকানের ফল লুট করেছে, আমাকে মারধর করা হয়েছে।’
দক্ষিণ উলানিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মিলন চৌধুরী বলেন, ‘জোড়া খুনের মামলার আসামি তারেক সরদারের নেতৃত্বে তার অনুসারীরা বৃহস্পতিবার সকালে ভোলা থেকে ট্রলারে উলানিয়ায় আসে। ফেরার পথে কালীগঞ্জ বাজারে আমার নির্বাচনি কার্যালয় এবং আমার সমর্থক মানিক মাঝির বসতঘর ও সেন্টু মাঝির ফলের দোকান ভাঙচুর করেছে তারা।’
তারেক সরদারকে অভিযোগের বিষয়ে মন্তব্যের জন্য পাওয়া যায়নি মোবাইল ফোনে।
তার মামা হাবিবুর রহমান লিটন বলেন, ‘তারেক হামলা করেনি, তারেকের ওপর হামলা করেছে মিলন চৌধুরীর লোকজন। এখন মিথ্যা রটাচ্ছে সাংবাদিকদের কাছে। তারেক অনেক দিন পর এলাকায় এসেছে, তাই প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হয়েছে তার লোকজন।’
থানার এসআই গোলাম মোস্তফা জানান, দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। তবে কারও নির্বাচনি ক্যাম্প বা দোকানপাট ভাঙচুর হয়েছে কি না তা জানা নেই। কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।
উত্তর ও দক্ষিণ উলানিয়ার নির্বাচনের দিন নির্ধারিত ছিল ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর। তবে ওই দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে একাধিক সংঘর্ষের কারণে ৬ ডিসেম্বর নির্বাচন স্থগিত করা হয়।
২০২১ সালের ১০ এপ্রিল দক্ষিণ উলানিয়ায় সংঘর্ষে দুজন নিহত হন, আবার উত্তর উলানিয়ায় ২০ মে বিয়েবাড়িতে সংঘর্ষে নিহত হন আরও দুজন।