বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কলেজে যোগদানে শিক্ষককে অধ্যক্ষের বাধা

  •    
  • ২৭ জানুয়ারি, ২০২২ ২০:৩৮

হুমায়ুন জানান, ২০০৬ সাল থেকে তিনি ওই কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ছিলেন। মিথ্যা অভিযোগ তুলে ২০১৮ সালের ৮ সেপ্টেম্বর তাকে কলেজ থেকে বহিষ্কার করেন অধ্যক্ষ আনিসুর।

শিক্ষাবোর্ডের নির্দেশের পরও এক শিক্ষককে কলেজে যোগ দিতে বাধা দিয়েছেন কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার গোপালনগর আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ।

হুমায়ুন কবির নামে ওই শিক্ষক জানান, মিথ্যে অভিযোগ তুলে তাকে কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। শিক্ষাবোর্ডের তদন্তে অভিযোগ খারিজ হয়। এরপর শিক্ষাবোর্ড থেকে তাকে কলেজে যোগ দেয়ার নির্দেশনা আসে। তারপরও অধ্যক্ষ তাকে বৃহস্পতিবার কলেজ থেকে বের করে দেন।

তবে অধ্যক্ষ আনিসুর রহমান সোহেল জানান, হুমায়ুনের বিরুদ্ধে অন্য অভিযোগ আছে বলে কলেজের গর্ভনিং বডি তাকে বহিষ্কার করেছে।

হুমায়ুন জানান, ২০০৬ সাল থেকে তিনি ওই কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ছিলেন। মিথ্যা অভিযোগ তুলে ২০১৮ সালের ৮ সেপ্টেম্বর তাকে কলেজ থেকে বহিষ্কার করেন অধ্যক্ষ আনিসুর।

সেই অভিযোগে মামলাও হয়, যা তদন্ত শেষে খারিজ হয়ে যায়। এরপর তিনি বহিষ্কারাদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে ২০১৯ সালে একটি এবং ২০২০ সালে আরেকটি রিট করেন।

উচ্চ আদালত কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডকে ৩০ দিনের মধ্যে বহিষ্কারাদেশ তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলে। শিক্ষাবোর্ডের তদন্তের পর গত ১৩ জানুয়ারি তার বহিষ্কারাদেশ বিধিবহির্ভূত ঘোষণা করে। একইসঙ্গে তাকে স্বপদে বহাল রাখার নির্দেশ দেয়।

হুমায়ুন আরও জানান, এই নির্দেশনার পরও তাকে কলেজে যোগ দিতে বাধা দেয়া হয়।

এ বিষয়ে অধ্যক্ষ আনিসুর রহমান সোহেল জানান, হুমায়ুন আরও দুইটি কলেজে চাকরি করছেন। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে অন্য অভিযোগও আছে। তাই গভর্নিং বডি তাকে বহিষ্কার করেছে। বোর্ডের তদন্তেও সেটা প্রমাণিত হয়েছে।

কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান আবদুছ সালাম বলেন, ‘অধ্যক্ষের বক্তব্য পুরোপুরি মিথ্যাচার। বোর্ডের রায়ে হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।

‘কোনো শিক্ষককে বরখাস্ত করতে হলে বোর্ডের অনুমতি প্রয়োজন। গভর্নিং বডি ও অধ্যক্ষ তা না করে সরাসরি তাকে বহিষ্কার করে। এটা নিয়মের লঙ্ঘন। আমরা প্রয়োজনে ওই কমিটি ভেঙে দেব। হুমায়ুন কবির চাইলে আইনি প্রক্রিয়ায় এগুতে পারেন। আমাদের সিদ্ধান্ত, হুমায়ুন কবির স্বপদে বহাল থাকবেন।’

ব্রাহ্মণপাড়ার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল রানা বলেন, ‘যদিও এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বোর্ড থেকে কোনো চিঠি পাইনি, তারপরও আমি বোর্ড চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আমাকে জানিয়েছেন হুমায়ুন কবিরের চাকরিতে যোগদানে সমস্যা নেই। আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। যদি ওই শিক্ষকের সঙ্গে অন্যায় হয়, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’

এ বিভাগের আরো খবর